নীলফামারী: নীলফামারীর ডোমার সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ক্লাসের মধ্যে বানানো টিকটক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় সেটা এখন সর্বমহলে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে করে বিদ্যালয়টির শিক্ষাদানের মান নিয়েও ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ফাঁকা শ্রেণিকক্ষে কয়েকজন শিক্ষার্থী বেঞ্চের উপর উঠে হিন্দি গানের তালে নাচছে। আরেকটি ভিডিওতে দুইজন শিক্ষার্থীকে একাডেমিক ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলা গানের তালে বিভিন্নভাবে নাচতে দেখা যায়।
স্কুলের ড্রেস পড়ে শ্রেণিকক্ষের মধ্যে এরকম কয়েকটি টিকটক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়।
গোলাম কুদ্দুস আইয়ুব নামে একজন অভিভাবক বলেন, ‘স্কুল হলো পড়াশোনার জায়গা। সেখানে টিকটক করা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এতে অন্য শিক্ষার্থীদের মনোযোগও নষ্ট হয়।’
এদিকে, ড্রেস পরে শ্রেণিকক্ষে টিকটক ভিডিও বানানোর ঘটনা শিক্ষার পরিবেশকে নষ্ট করছে বলে মনে করছেন ডোমার মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবু ফাত্তাহ কামাল পাখি।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয়ের ড্রেস পরে শ্রেণিকক্ষে টিকটক ভিডিও ধারণ করা শুধু শৃঙ্খলা ভঙ্গই নয়, পুরো শিক্ষার পরিবেশকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে। শিক্ষার্থীদের এমন আচরণ তাদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং অন্যদের মধ্যেও অনাকাঙ্ক্ষিত প্রবণতার জন্ম দিতে পারে। এসব বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন।‘
সোহেল রানা নামের এক অভিভাবক জানান, ‘স্কুলে পড়া বাচ্চাদের তো ফোন ব্যবহার করাই উচিত নয়। সেখানে স্কুলের বাচ্চা হয়ে তারা ফেসবুক টিকটক কেন ব্যবহার করবে। বাচ্চাদের পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষের যথেষ্ট গাফেলতি রয়েছে। কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’
এ প্রসঙ্গে ডোমার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুররুল আনম সিদ্দিকী জানান, ‘ওই শিক্ষার্থীদের মনিটরিং আওতায় আনা হবে। এছাড়াও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’