ঢাকা: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারি শেষে বিদায় নেবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু এর আগেই আগামী ২০২৬-২৭ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের কাজ এগিয়ে যাবে অনেকখানি। প্রাথমিক প্রস্তাব অনুযায়ী, আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আগামী সোমবার (২২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনায়’ অনুষ্ঠেয় এক বৈঠকে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট, সংশোধিত এডিপি ও আগামী নতুন অর্থবছরের জন্য বাজেটের একটি রূপরেখা অনুমোদন দেওয়া হবে। অনুষ্ঠেয় ওই বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, পরিকল্পনামন্ত্রী ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান, অর্থ সচিব ড.খায়েররুজ্জামান মজুমদার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারকসহ অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
সূত্রমতে, প্রাথমিক এ রূপরেখায় আগামী বাজেটের একটি পূর্ণ খসড়া কাঠামো দাঁড় করিয়ে দেওয়া হবে। তবে পরবর্তীতে নতুন নির্বাচিত সরকার প্রয়োজনে এ রূপরেখা সংযোজন-বিয়োজন ও পরিমার্জন করতে পারবে।
সূত্রমতে, আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেটের প্রাথমিক আকার ৮ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে এডিপি আকার ধরা হয়েছে আড়াই লাখ কোটি টাকা। তবে বৈঠকে আলোচনা সাপেক্ষে আকার বাড়তে বা কমতে পারে।
উল্লেখ্য, চলতি ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার হচ্ছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।
সূত্রমতে, প্রথমে চিন্তা করা হয়েছিল বাজেটের এ আকার কাঁটছাট করে ৭ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হবে। কিন্তু পাঁচ ইসালামী ব্যাংককে একীভূতকরণে আর্থিক সহায়তা এবং সরকারি চাকুরেদের কিছু সুবিধা দেওয়ার কারণে সংশোধিত বাজেটে তেমন কোনো কাটছাট করা না-ও হতে পারে। কিংবা শেষ পর্যন্ত বাজেটের আকার খুব সামান্য (২/১ হাজার কোটি টাকা) কমতে পারে। সেক্ষেত্রে চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের আকার হতে পারে ৭ লাখ ৮৮ হাজার বা ৮৯ হাজার কোটি টাকা।
অন্যদিকে মূল বাজেটের আকার তেমন না কমলেও সংশোধিত বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)-এর আকার কমতে পারে ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা। ফলে সংশোধিত এডিপি’র আকার ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা থেকে কমে ২ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা হতে পারে।
সূত্রমতে, এছাড়া সংশোধিত বাজেটে এবার প্রথমবারের মতো রাজস্ব বাজেটের আকার বাড়ছে। এর আকার বাজেটে ঘোষিত ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হতে পারে।
সূত্র জানায়, অন্যান্যের মধ্যে বৈঠকে আগামী অর্থবছরের শুরুতে সরকারি চাকুরেদের জন্য আর্থিক সুবিধার প্রদানের বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সেক্ষেত্রে মহার্ঘভাতা দেয়া হতে পারে। এটি হতে পারে ২০ শতাংশ। বৈঠকে এ বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। আর নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন করবে নতুন সরকার।