Sunday 21 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভারতে থাকা শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৫২

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

ঢাকা: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায়ের কার্যাদেশে অনিয়ম, সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ভারতে অবস্থান করা ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ আদেশ দেন।

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্য ১৬ জন হলেন— সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী (অর্থ ও পরিকল্পনা) এম এ মান্নান, সাবেক সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফারুক জলিল, সাবেক উপসচিব মোহাম্মদ শফিকুল করিম, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ফিরোজ ইকবাল ও ইবনে আলম হাসান, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আফতাব হোসেন খান ও আব্দুস সালাম, সিএনএস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনীর উজ জামান চৌধুরী এবং পরিচালক সেলিনা চৌধুরী ও ইকরাম ইকবাল।

বিজ্ঞাপন

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানজীর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদকের পক্ষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সহকারী পরিচালক তানজিল হাসান আদালতে আবেদন করে জানান, আসামিরা দেশত্যাগ করলে মামলার তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে এবং গুরুত্বপূর্ণ আলামত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।

আবেদনে বলা হয়, একক উৎসভিত্তিক দরপত্রের মাধ্যমে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস) লিমিটেডকে ৫ বছরের জন্য মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায়ের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এ চুক্তির আওতায় প্রতিষ্ঠানটি আদায়কৃত টোলের ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে (ভ্যাট ও আয়কর ব্যতীত) সার্ভিস চার্জ গ্রহণ করে মোট ৪৮৯ কোটি ৪৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বিল তোলে। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয় ৩০৯ কোটি ৪২ লাখ ৪৫ হাজার ৮৯০ টাকা।

দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে, ২০১০-২০১৫ মেয়াদে একই সেতুর টোল আদায়ে এমবিইএল-এটিটি মাত্র ১৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় কাজ করেছিল। পরবর্তীতে ২০২২-২০২৫ মেয়াদে ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেডকে ৬৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় কার্যাদেশ দেওয়া হয়, যা পাঁচ বছরে রূপান্তর করলে প্রায় ১১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা হয়।

এ ছাড়া সিএনএস লিমিটেড ‘নতুন প্রযুক্তি স্থাপন ও অবকাঠামো ব্যয়’ দেখিয়ে অতিরিক্ত ৬৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা দাবি করে।

দুদকের মতে, আগের দরপত্র ইচ্ছাকৃতভাবে বাতিল করে একক উৎসভিত্তিক দরপত্র আহ্বান করা হয় এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্য, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সিএনএস লিমিটেডের পরিচালকরা পরস্পর যোগসাজশে এই অনিয়ম করেন।

উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর দুদকের সহকারী পরিচালক তানজিল হাসান বাদী হয়ে ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর