চট্টগ্রাম ব্যুরো: ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাসকে হত্যার ঘটনা তার কর্মস্থল পোশাক কারখানার মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্বের কারণে হয়েছে বলে দাবি করেছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।
দিপু চন্দ্র দাসকে পুড়িয়ে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, ‘গণমাধ্যমে জানা গেছে- পেশায় শ্রমিক দিপু চন্দ্রকে ধর্মের মুখোশে পুড়িয়ে মারার ঘটনাটি পরিকল্পিত। এই নৃশংস হত্যা সংঘটিত হয়েছে মালিক বনাম শ্রমিক দ্বন্দ্বের ফল হিসেবে। গত বছরের এপ্রিলে ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরে আগুন দেওয়ার কোনো প্রমাণ না পেলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের শতাধিক লোক সংঘবদ্ধ হয়ে দুজন নিরীহ মুসলিম শ্রমিককে হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করেছিল। সম্ভবত ভিকটিমরা মুসলিম হওয়ায় সুশীলরা চুপ ছিল। সেই ঘটনার কোনো বিচার আজও হয়নি।’
‘দীর্ঘ বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এবং আইনের শাসনের অভাবে দেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা প্রকট হয়ে উঠেছে। তাছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সন্দেহ, অবিশ্বাস ও বিভক্তি বাড়াতে নানা সাবোটাজ ঘটানো হচ্ছে বলেও আমরা মনে করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আধিপত্যবাদবিরোধী বিপ্লবী শহিদ ওসমান হাদির ইন্তেকালের প্রতিক্রিয়ায় বেশ কয়েকটি চিহ্নিত ভারতপন্থী প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিক্রিয়া ও প্রতিবাদকে কোনোভাবেই সহিংস করে তোলা যাবে না। আমরা সহিংসতা সমর্থন করি না। দেশের স্থিতিশীলতার স্বার্থে সবাইকে শান্তি-শৃঙ্খলার মধ্যে প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানাতে হবে। এছাড়া নির্বাচন বানচালে ফ্যাসিস্ট অপশক্তি সহিংসতার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবাদী পরিকল্পনা ঠেকাতে গোয়েন্দা তৎপরতা ও আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা আরো কঠোর করতে হবে সরকারকে।’
দিপু চন্দ্র দাসের পাশাপাশি লক্ষ্মীপুরে শিশু আয়েশাকে পুড়িয়ে হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে উভয় ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান আজিজুল হক ইসলামাবাদী।