সহপাঠীর হাত ধরায় মারধর: ৩ ঢাবি শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
১৫ জুলাই ২০১৮ ২০:০১
।। ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাবি: সহপাঠীর হাত ধরে দাঁড়িয়ে থাকায় মারধর করার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রোববার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বনী সারাবাংলা’কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বহিষ্কৃত তিন শিক্ষার্থী হলেন- সিফাত উল্লাহ সিফাত, আলে ইমরান পলাশ ও মাহমুদুর রহমান। তারা তিন জনই সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পলাশ হল শাখা ছাত্রলীগের কার্যনিবাহী সদস্য। বাকি দু’জন ছাত্রলীগকর্মী।
তিন জনের মধ্যে সিফাত উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ, আলে ইমরান পলাশ শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও মাহমুদুর রহমান আধুনিক ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউটের অধীনে ইংলিশ ফর স্পিকারস অব আদার ল্যাঙুয়েজেস বিভাগের শিক্ষার্থী।
প্রক্টর গোলাম রাব্বানী বলেন, এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে প্রাথমিকভাবে আমরা যে তথ্য পেয়েছি, তার ভিত্তিতেই তিন জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিকসহ সব বিষয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার (১৪ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দুই সহপাঠী আসাদুজ্জামান ও লীনা প্রশাসনিক ভবনের সামনে হাত ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় সূর্যসেন হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদেরকে পরিচয়পত্র দেখাতে বলেন। পরিচয়পত্র দেখালেও তাদের মারধর করেন ওই শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী লীনা জানান, পরিচয়পত্র দেখালেও ওই ১০-১২ জন অশ্লীলতার অভিযোগ তুলে আসাদুজ্জামানকে মারধর শুরু করেন। এ সময় লীনা তাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। মারধরের পরই সূর্যসেন হলের ভেতরে দৌড় দেন ওই ১০-১২ জন। এ সময় আসাদুজ্জামান তাদের পেছনে পেছনে গিয়ে মারধরের কারণ জানতে চাইলে তারা ফের আসাদুজ্জামানকে ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে মারতে শুরু করে। লীনা তাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও স্টাম্প দিয়ে মারধর করা হয়। এতে লীনার পায়ের বুড়ো আঙুলের নখ উঠে যায়।
পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাকসুদ কামাল এসে ভুক্তভোগীদের বক্তব্য শোনেন। তিনি আহত ওই দুই শিক্ষার্থীকে হলে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন এবং তাদের চিকিৎসারও ব্যবস্থা করেন।
প্রাধ্যক্ষ এ এস এম মাকসুদ কামাল জানান, এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দেবে।
সারাবাংলা/কেকে/টিআর