ঢাকা: বিওয়াইডি বাংলাদেশ ‘ইউথ অ্যাপ্রেন্টিসশিপ ২০২৫’-এর প্রথম ধাপ সম্পন্ন করেছে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি দেশের অটোমোটিভ খাতে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরির ক্ষেত্রে প্রথম কাঠামোগত শিক্ষানবিশ প্রোগ্রাম। প্রোগ্রামটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে নিউ এনার্জি ভেহিকল (এনইভি) আর্কিটেকচার ও বিওয়াইডির নিজস্ব উদ্ভাবনগুলোর সঙ্গে সরাসরি পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে কর্পোরেট-চালিত শিক্ষার নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
প্রথম দফায় বিওয়াইডি বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এইউএসটি), ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি), মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) মতো দেশের পাঁচটি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দশজন সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীকে এতে যুক্ত করে।
অংশগ্রহণকারীরা কয়েকদিনের জন্য বিশ্বমানের অটোমোটিভের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ তাত্ত্বিক শিক্ষার পাশাপাশি, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও কৌশলগত শিল্পের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পায়।
ইভি পাওয়ারট্রেন ও হাইব্রিড সিস্টেমসহ আধুনিক মোবিলিটির প্রতিটি বিষয় নিয়ে এই পাঠ্যক্রমের নেতৃত্ব দেন প্রতিষ্ঠানটির ইন-হাউস ট্রেইনার ও প্রোডাক্ট স্পেশালিস্ট মো. রেজওয়ান রহমান ও প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট এক্সিকিউটিভ নাকিবুল ইসলাম। এতে বিওয়াইডির সিগনেচার ‘ব্লেড ব্যাটারি’ প্রযুক্তির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করার পাশাপাশি, সাপ্লাই চেইন অপারেশন, কানেক্টিভিটি ও সেফটি প্রোটোকলের ওপর প্রয়োজনীয় মডিউল রাখা হয়, যেন শিক্ষার্থীরা এই খাত সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা লাভ করতে পারে।
সনদ প্রদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রোগ্রামের সমাপ্তি ঘটে। এসময়, শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতার স্বীকৃতি ও ক্যারিয়ার বিষয়ক দিকনির্দেশনার পাশাপাশি, সনদ প্রদান করেন চিফ মার্কেটিং অফিসার ইমতিয়াজ নওশের ও হেড অব সাপ্লাই চেইন হোসেন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ।
এ বিষয়ে বিওয়াইডি বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার ইমতিয়াজ নওশের বলেন, প্রথম ধাপের এই সফল পরিসমাপ্তি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত। কারণ, আমরা বাংলাদেশের সবুজ বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মেধাবীদের প্রয়োজনীয় দক্ষ করে গড়ে তুলছি। আমাদের বিশ্বমানের এনইভি দক্ষতার মাধ্যমে এই সম্ভাবনাময় তরুণদের ক্ষমতায়ন করার অর্থ কেবল প্রযুক্তি শেখানো নয়; বরং আমরা টেকসই ও ভবিষ্যৎমুখী মোবিলিটি ইকোসিস্টেমের অবকাঠামো তৈরি করছি।
উদ্যোগটি দেশের ক্রমবর্ধমান অটোমোটিভ খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যা কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) ও উদ্ভাবনের প্রতি বিওয়াইডির প্রচেষ্টাকে পুনর্ব্যক্ত করে। বিওয়াইডি এর কার্যক্রম বাড়ানোর পাশাপাশি, আগামী প্রজন্মের বাংলাদেশি প্রকৌশলী ও সম্ভাবনাময়দের ক্ষমতায়িত করার লক্ষ্যে এই ইউথ অ্যাপ্রেন্টিসশিপ প্রোগ্রামটি অব্যাহত রাখবে।
বিওয়াইডি বাংলাদেশের ‘ইউথ অ্যাপ্রেন্টিসশিপ প্রোগ্রাম’র প্রথম দফা সম্পন্ন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩:৪৮
২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩:৪৮
সারাবাংলা/এনএল/এসএস