রাজবাড়ী: ‘আলোর মিছিলে আধারের আঘাত, প্রতিবাদে জেগে উঠুন দেশবাসী’-স্লোগান ধারণ করে উদীচী, ছায়ানট কার্যালয় ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে প্রতিবাদী গান ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সাংস্কৃতিককর্মীরা।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী রাজবাড়ী জেলা সংসদ ও রাজবাড়ী সাংস্কৃতিক ঐক্য পরিষদের আয়োজনে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন দৈনিক সমকালের রাজবাড়ী প্রতিনিধি সৌমিত্র শীল চন্দনের সঞ্চালনায় ও জেলা উদীচীর সভাপতি প্রফেসর শংকর চন্দ্র সিনহার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন-জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি আব্দুস সামাদ মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা চিত্রশিল্পী মো. গোলাম আলী, রাজবাড়ী নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফকীর শাহাদত হোসেন, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অরুণ কুমার সরকার, জেলা উদীচীর সহসভাপতি আজিজুল হাসান খোকা, সাংগঠনিক সম্পাদক ধীরেন্দ্র নাথ দাস, অরুনি শিল্প সাহিত্যের সভাপতি দিলিপ চাকী প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক এজাজ আহম্মেদ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, উদীচী, ছায়ানট একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন আপনারা সবাই জানেন। কেউ বলতে পারবে না এসব সংগঠনের কেউ কাউকে অপমান করেছে, কারও সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। এসব সংগঠন শান্তির কথা বলে, প্রগতির কথা বলে। যে কারণে এসব সংগঠনগুলোর ওপরে নগ্ন হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় এসব সংগঠনের শতশত পান্ডুলিপি, নথিপত্র, ইতিহাস-ঐতিহ্য পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়া এ দেশের দুইটি বড় গণমাধ্যম কার্যালয় পুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসময় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। গণমাধ্যমে হামলা মানে গণতন্ত্রের উপর হামলা। জীবিত মানুষকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে গায়ে আগুন দেওয়া হচ্ছে। মানুষকে ঘরে আটকে বাইরে থেকে আগুন লাগানো হচ্ছে।এটা নির্মম। এর বিচার হতে হবে। এদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সম্মিলিত প্রতিরোধ ছাড়া এদের দমন করা সম্ভব না। এসব ঘটনায় জড়িত ও উস্কানিদাতাদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান বক্তারা।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে সংগঠনের সদস্যরসহ অন্যান্য শিল্পীরা গান গানে প্রতিবাদ জানান।