ঢাকা: দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় ক্রমেই বাড়ছে জনসমাগম।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত থেকেই কুড়িল বিশ্বরোড থেকে সংবর্ধনা মঞ্চ পর্যন্ত পুরো এলাকা উৎসবমুখর পরিবেশে রূপ নিতে শুরু করেছে। ভোর হতে হতে সেই সমাগম আরও বাড়তে থাকে।
৩০০ ফিট এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে স্লোগান দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। সর্বত্রই শোনা যাচ্ছে- ‘লিডার আসছেন’। স্লোগান, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে মুখর পুরো এলাকা যেন এক বিশাল উৎসব প্রাঙ্গণে পরিণত হয়েছে।

পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় ক্রমেই বাড়ছে জনসমাগম।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হাজারো নেতাকর্মী রাতের মধ্যেই সমাবেশস্থলে জড়ো হন। অনেকেই খোলা আকাশের নিচে রাত কাটানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন। নেতাকর্মীদের ভাষায়, বহু বছর পর প্রিয় নেতার দেশে ফেরার অপেক্ষার এই রাত তাদের কাছে ‘চাঁদরাতের’ আনন্দের মতো।
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ৩০০ ফিট সড়কের রূপগঞ্জ অংশে আগত নেতাকর্মীদের সুবিধার্থে ছয়টি বড় এলইডি ডিসপ্লে স্থাপন করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রমতে, ভিড়ের কারণে যারা মূল সভামঞ্চের কাছাকাছি যেতে পারবেন না, তারা যাতে দূর থেকেই তারেক রহমানের বক্তব্য শুনতে ও সরাসরি দেখতে পারেন সে লক্ষ্যেই এই ডিসপ্লেগুলো বসানো হয়েছে। রূপগঞ্জের নীলা মার্কেট থেকে মূল মঞ্চ পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে ডিসপ্লেগুলো স্থাপন করা হয়েছে। রাজধানীজুড়ে কয়েকশ এলইডি ডিসপ্লে ও প্রায় ৯০০ মাইক স্থাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
নেতাকর্মীদের খাবার ও পানির চাহিদা মেটাতে সড়কের পাশে বসেছে হকারদের অস্থায়ী দোকান। কিছু দূর পরপর স্পিকার লাগানো ট্রাক ও বাসে দেশাত্মবোধক ও দলীয় গান বাজতে দেখা গেছে, যা সমবেত জনতাকে আরও উজ্জীবিত করছে।
নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাত ৯টার দিকে সংবর্ধনা মঞ্চ এলাকা পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বাহারুল আলম। এ সময় তার সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। পুরো এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
দলীয় সূত্র অনুযায়ী, বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ৩০০ ফিট এলাকার সংবর্ধনা মঞ্চে যাবেন তারেক রহমান। তার প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে সড়কের পাশে নির্মাণ করা হয়েছে ৪৮ ফুট বাই ৩৬ ফুট আয়তনের বিশাল সংবর্ধনা মঞ্চ।