বিশ্ব ফুটবলে ২০২৫ সালটা ছিল নতুন সব ইতিহাসের বছর। ক্লাব কিংবা জাতীয় দল; বিশ্ব ফুটবল বছরজুড়েই দেখেছে অনন্য সব রেকর্ড। এই বছরেই বিশ্ব ফুটবল হয়েছে অনেক ‘প্রথমের’ সাক্ষী।
পিএসজির চ্যাম্পিয়নস লিগের স্বপ্নপূরণ
ফ্রান্সের ঘরোয়া লিগে তারা বহু বছর ধরেই অপ্রতিরোধ্য। তবে ইউরোপ সেরা হওয়ার স্বপ্নটা যেন অধরাই রয়ে গিয়েছিল তাদের। ২০২৫ সালে পিএসজির সেই আক্ষেপটা মিটেছে। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। মেসি-এমবাপে-নেইমাররা যা করে দেখাতে পারেননি, ডেম্বেলে-কাভারাস্কেইয়ারা করে দেখিয়েছেন সেটাই।
চ্যাম্পিয়নস লিগের পাশাপাশি ফ্রেঞ্চ লিগ, ফরাসি কাপ, ইউয়েফা সুপার কাপ ও ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপও ঘরে তুলেছে পিএসজি।
ডেম্বেলের ব্যালন ডি অর
মেসি-রোনালদোর দাপটে কখন ছুঁয়ে দেখা হয়নি সোনালি এই বলটি। ইনজুরিতে জর্জরিত হয়ে ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময়ই কেটেছে হাসপাতালে। অবশেষে উসমান ডেম্বেলে পেলেন কাঙ্ক্ষিত সেই সাফল্য। পিএসজির হয়ে অবিশ্বাস্য পারফর্ম করে ২০২৫ সালে প্রথমবারের মতো ব্যালন ডি অর জিতেছেন এই ফরাসি তারকা।
গত মৌসুমে ৩৫টি গোল ও ১৬টি অ্যাসিস্টে পিএসজির প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল ডেম্বেলের। এই পারফরম্যান্সের কারণে ব্যালন ডি অর ও ফিফার বেস্ট দুটি পুরস্কারই উঠেছে তার হাতে।
ব্রাজিলের প্রথম ‘বিদেশি’ কোচ
২০২২ বিশ্বকাপের পর থেকেই উঠেছিল গুঞ্জনটা। আসি আসি করেও রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ব্রাজিলে আসতে পারছিলেন না তিনি।
অনেক নাটকের পর এই বছরের মে মাসে ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছেন কার্লো আনচেলত্তি। ব্রাজিলের দীর্ঘ ফুটবল ইতিহাসে এবারই প্রথম জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পেলেন বিদেশি কোন কোচ।
সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ কোচ আনচেলত্তি ব্রাজিলকে ‘মিশন হেক্সা’ পূরণে সফল করবেন, এমন আশাতেই বুক বেধে আছেন কোটি ব্রাজিল ভক্ত।
মেসি জাদুতে মায়ামির প্রথম
লিওনেল মেসি যাওয়ার আগে ইন্টার মায়ামি ছিল ট্রফিশূন্য। সেই মায়ামিকে যে পালটে গেছে মেসির জাদুর স্পর্শে। ক্লাব তিনটি শিরোপা জিতিয়েছেন মেসি।
প্রথম দুই মৌসুমে লিগস কাপ ও সাপোর্টার্স শিল্ডের পর ২০২৫ সালে ক্লাবটি জিতেছে মেজর লিগ সকারের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ট্রফি—এমএলএস কাপ। এটিই তাদের প্রথম এমএলএস কাপ শিরোপা জয়।
প্রথমবার ফিফা বিশ্বকাপের টিকিট পেলেন যারা
২০২৬ সালে হতে যাওয়া ফিফা বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছে কুরাসাও ও কেপ ভার্দে। এর মধ্যে বিশ্বকাপের ইতিহাসে জনসংখ্যার বিচারে ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পেয়েছে কুরাসাও। কুরাসাওয়ের জনসংখ্যা ১ লাখ ৮৫ হাজার ৪৮৭ জন।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলবে ৫ লাখ ২৫ হাজার জনসংখ্যার দেশ কেপ ভার্দেও।