ঢাকা: ঘন কুয়াশায় চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের এসপি সৈয়দ মুশফিকুর রহমান। তিনি বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার হরিণাঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের নিয়ে জাকির সম্রাট লঞ্চ ঢাকায় পৌছায়। সেখানে প্রথমে চারজন ও পরে আরও চারজনসহ মোট ৮ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি।
নৌ পুলিশ জানিয়েছে, মেঘনা নদীতে লঞ্চ দুর্ঘটনার ঘটনায় ঝালকাঠিগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চকে আটক করা হয়েছে।
চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) বাবু লাল বৈদ্য জানান, ঘন কুয়াশার কারণে নৌপথে চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। এ অবস্থায় হরিনা এলাকায় দু’টি লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় আটজন নিহতসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম ও পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
বরিশালগামী এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের যাত্রীরা জানায়, ভোলার দুলারহাট থানার ঘোষেরহাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটির মাঝ বরাবর ঢাকা থেকে ঝালকাঠিগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি সজোরে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে এমভি জাকির সম্রাট লঞ্চের একপাশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। নদীতে ঘন কুয়াশা ছিল। এ কারণে দিক নির্ণয় করতে না পেরে লঞ্চ দুইটির সংঘর্ষ হয়।
চাঁদপুরে বিআইডব্লিউটিএর পরিদর্শক আব্দুল মান্নান জানান, দুর্ঘটনার পর গভীর রাতে জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে ভেড়ানোর চেষ্টা করলে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে তারা লঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেয়ার হুমকিও দেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে লঞ্চের মাস্টার আহত যাত্রীদের নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা দেন।
এদিকে, চাঁদপুর নদী বন্দরের বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনার ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।