বাগেরহাট: টানা তিনদিনের সরকারি ছুটিতে পর্যটকে মুখরিত হয়ে উঠছে সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া, কটকা, কচিখালী ও করমজল। আগত পর্যটকদের চাপ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে বনবিভাগ। সুন্দরবন দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন দেশি-বিদেশি পর্যটক। নেই নিরাপত্তার সমস্যা।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) পর্যন্ত এই আগমন লক্ষ্য করা গেছে। চলতি বছর পর্যটক খাতে প্রায় তিন কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করবে বনবিভাগ।
খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের বড়দিনসহ টানা তিন দিন ছুটি থাকায় সুন্দরবন কেন্দ্রীক পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হাড়বাড়িয়া, কটকা, কচিখালী ও করমজল পর্যটন কেন্দ্রগুলো। পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছে সুদীর্ঘ ফুট টেইলার, সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ার। খাঁচায় ঘেরা মায়াবি হরিণ, কুমির ও কচ্ছপ। মিউজিয়ামে রয়েছে বাঘ, হরিণ, কুমির, ডলফিন, বানরসহ বিভিন্ন পশু পাখির অবায়ব। এসব দেখে মুগ্ধ হন পর্যটকরা।
দেশ-বিদেশি আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে বনবিভাগসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। মার্চ মাস পর্যন্ত চলবে এই মৌসুম ।
ঢাকা থেকে আসা সুশীল সরকার জানান, ‘বড়দিন পালন উপলক্ষ্যে মোংলাতে এসেছি। দুই দিন বনের মধ্যে ঘুরে দেখেছি নানা রকম পাখি, হরিণ, কুমির, বানরসহ নানা প্রাণী ও গাছপালা।
যশোর থেকে আসা হুমায়ুন আহমেদ জানান, ‘সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ার থেকে সুন্দরবন দেখতে ভালোই লাগে।’
সুন্দরবন জোনের টুরিস্ট পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র ব্রজ কিশোর পাল জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা ও নৌ দুঘটনা রোধে লাইভ জ্যাকেট বাধ্যতা করা হয়েছে এবং নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে দেওয়া হচ্ছে না।
করমজল পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, পর্যটক আগম বেড়ে গেছে। এই ধারা আরও কয়েক দিন থাকবে।