ঢাকা: রাজধানীর গুলশানের ঠিকানায় ভোটার হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমান।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, ঠিকানাটা হচ্ছে, বাসার নম্বর-এন ই-ডি৩/বি; ওয়ার্ড নম্বর-১৯, গুলশান অ্যাভিনিউ, পোস্ট কোড-১২১২। এই ঠিকানাকে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর বর্তমান ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে ধানমণ্ডি ১৫ নম্বরে ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকার একটি বাসাকে।
এর আগে, আজ শনিবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে মা জুবাইদা রহমানের সঙ্গে আসেন জাইমা রহমান। নিবন্ধন সম্পন্ন করে বেরিয়ে যান বেলা পৌনে একটার দিকে। এরপর তারেক রহমান ইটিআইতে আসেন দুপুর একটায়। ইটিআইতে তারা ছবি তোলেন এবং আঙুলের ছাপ ও স্বাক্ষর দিয়ে ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেন। পরে সোয়া একটার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) এলাকা ত্যাগ করেন।
এরআগে সকালে এনআইডি মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুর কবীর সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন সম্পন্ন করার ৫ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই স্মার্টকার্ড পাবেন তারা। জানান, তারা অনলাইনে ফরম পূরণ করেছেন। এখন আমাদের কাছে এসে কেবল আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।
এনআইডি ডিজি আরো বলেন, আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করার পর সফটওয়্যার স্বযংক্রিয়ভাবে তার তথ্য সার্ভারে সার্চ করে দেখবে যে সেটা কারো সঙ্গে ম্যাচ করে কিনা। ম্যাচ না করলে ৫ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এনআইডি নম্বর জেনারেট হবে। এটা আমাদের কারো হাতে নেই। এক্ষেত্রে আমাদের কাছ থেকেও এনআইডি বা স্মার্টকার্ড নিতে পারবেন। আবার তার মোবাইলে মেসেজ যাবে, সেখান থেকেও ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
এর আগে জুন মাসের দিকে গুলশান অ্যাভিনিউয়ের বাসার ঠিকানায় ভোটার হয়েছিলেন জুবাইদা রহমান।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সপরিবারে দেশে ফিরেছেন তারেক রহমান। বিএনপি আগেই জানিয়েছিল, শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) তিনি ভোটার হবেন। এর আগে দলটির পক্ষ থেকে তারেক রহমানকে সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে হলে যে কোনো এলাকার ভোটার হলেই হয়। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ ও গণভোট। এক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে। তার আগেই ভোটার হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।