।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
বহুল আলোচিত ও প্রতীক্ষিত ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের আগে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফিনিশরা। তাদের দাবি, স্নায়ুযুদ্ধের সময় অনেক ঐতিহাসিক সম্মেলনের আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত। তবে হেলসিংকি কোনোভাবেই আলোচনার জন্য নিরপেক্ষ ভেন্যু নয়।
সোমবার (১৬ জুলাই) ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যকার পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি ও সিরিয়া বিষয়ে আলোচনার জন্য বসছেন দুই বিশ্বনেতা।
এর আগে ১৫ জুলাই, রোববার রাস্তায় নেমে আসে বৈঠক বিরোধী আন্দোলনকারীরা। তাদের হাতে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানারে লেখা ছিলো ‘তোমাদের স্বাগত জানাচ্ছি না’ ও ‘যুদ্ধ নয় শান্তি বজায় রাখো’ ইত্যাদি।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া একজন সরকারি চাকরিজীবী আনা ব্রুন বলেন, তারা এখানে আসবেন এটা আমার কাছে মোটেও স্বস্তির ঠেকছে না।
দেশটির প্রধান সারির একটি পত্রিকা ইংরেজি ও রুশ দুই ভাষাতেই ছাপিয়েছে, ‘মুক্তগণমাধ্যমের দেশে প্রেসিডেন্টকে স্বাগতম!’
এটাকে অবশ্য ট্রাম্পের জন্য খোঁচা হিসেবেই দেখছে অনেকে।
স্নায়যুদ্ধের সময়কালে হেলসিংকি যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করেছে। সেসময় পরাশক্তি দেশ দুটির মধ্যে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয় এখানে। এর মধ্যে রয়েছে, ১৯৭৫ সালে গার্লড ফোর্ড ও লিওনিড ব্রেজনেভের মধ্যকার চুক্তি, মিখাইল গর্বাচেভ ও জর্জ বুশের ১৯৯০ সালের আলোচনা, বরিস ইয়েলেৎসিন ও বিল ক্লিনটনের মধ্যকার ১৯৯৭ সালের মধ্যকার বৈঠক।
স্থানীয় কিছু গণমাধ্যমাগুলো বলছে, ট্রাম্প-পুতিনের আলোচনা যদি অতীতের মতো ফলপ্রসূ হয়, তাহলে তা সত্যি ভালো হবে।
তবে আগের মতো রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ থাকার সেই সুযোগ এখন আর ফিনল্যান্ডের নেই। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ফিনল্যান্ড অনেকটাই পশ্চিমা মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত। এ কথাটাই স্পষ্ট করতে চাইছেন অনেক ফিনিশ নাগরিক।
সারাবাংলা/এনএইচ/এমআই