অর্থপাচার হয়েছে কি না জানতেই জিজ্ঞাসাবাদ : দুদক সচিব
১৬ জুলাই ২০১৮ ১৪:৫৮
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা : অবৈধ সম্পদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে কি না এবং অর্থপাচার হয়েছে কি না তা জানতেই ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ তিন পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এই কথা সাংবাদিকদের জানান কমিশনের সচিব ড. শামসুল আরেফিন।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজা ও তিন পরিচালক খন্দকার মইনুল হাসান শামিম, আহমেদ ইসমাইল হোসেন ও আকতার মাহমুদকে দুদকে ডাকা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দুদক সচিব।
পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারির কারণেই এই জিজ্ঞাসাবাদ কি না জানতে চাইলে সচিব বলেন, এ বিষয়ে দুদকের তিন সদস্যদের একটি টিম অনুসন্ধান করছে এবং দুদক আইনের আওতায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত কিছু তথ্য এবং নিজস্ব ইনটেলিজেন্স থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পানামা পেপার্সে উল্লেখ করা নাম এবং পাসপোর্টে থাকা নামের বানান মিলিয়ে দেখতেই কিছুটা দেরি হয়ে গেল বলেও জানান সচিব।
এর আগে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে হাসান মাহমুদ রাজা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে হয়রানি করা হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সচিবের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান যে কাউকে হয়রানী করা হচ্ছে কি না। জবাবে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কমিশন স্পষ্ট করে বলতে চায় এখানে কাউকে হয়রানী করা হবে না।’
একজন পরিচালক হুইলচেয়ারে করে দুদকে এসেছেন উল্লেখ করলে সচিব জানান যে, ওই পরিচালক তার অসুস্থতার কথা আগে থেকে জানাননি। তিনি চাইলে সময়ের আবেদন করতে পারতেন এবং এ বিষয়ে চিঠিও দিতে পারতেন।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে সচিব বলেন, জিজ্ঞাসাবাদকারী টিম প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে। মানি লন্ডারিং বিষয়ে দুদকের যে আইন রয়েছে সে আইনের আলোকেই দুদক এগোচ্ছে বলে জানান কমিশনের সচিব।
আরো পড়ুন : ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ দুদকের
সারাবাংলা/জেএ/এসএমএন