ঢাকা: সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গ ও দলের নীতি পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ইতিপূর্বে বহিষ্কৃত ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত ১৩ জন নেতার শাস্তি প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। অভিযুক্তদের আবেদনের প্রেক্ষিতে দলের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের আলোকে তাদের ওপর থেকে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা তুলে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য ইতিপূর্বে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এস কে খোদা তোতন, শেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. মোকছেদুল হক শিবলু, রাজশাহী জেলাধীন তানোর উপজেলার ৩নং পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. মজিবর রহমান, ময়মনসিংহ উত্তর জেলাধীন হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির সদস্য মাওলানা মাহবুবুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিম আহমদ, সাবেক সদস্য এ বি এম কাজল সরকার, ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ফরিদ আল-রাজি কমল, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলা দলের সাবেক সহ-সভাপতি মোসা. মনোয়ারা খাতুন, জেলা মহিলা দলের কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মোছা. সুমি আক্তার, ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সাবেক সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক আবুল হাসনাত তারেক এবং কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. খাইরুল আলম চৌধুরীকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ তাদের সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হলো।
অন্যদিকে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপের দায়ে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা মহিলা দলের সাবেক সহ-সভাপতি ও গফরগাঁও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোসা. আফসানা মিমি এবং সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহপরানকে ইতিপূর্বে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ ২৯ ডিসেম্বর থেকে সেই অব্যাহতি আদেশও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই যাচাই-বাছাই শেষে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।