ঢাকা: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ ও ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় মুক্ত ছিলেন। কিন্তু তিনি ক্ষমা গ্রহণ না করে আইনের পথে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সিদ্ধান্ত নেন। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে দেশের সর্বোচ্চ আদালত দুটি মামলায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা:
২০১০ সালের ৮ আগস্ট দুদক তেজগাঁও থানায় ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকার অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর বিশেষ জজ আদালত-৫ খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা দেন। ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট তাকে খালাস দেন এবং ২০২৫ সালের ৩ মার্চ আপিল বিভাগের লিভ টু আপিল আবেদনও খারিজ হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা:
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত-৫ খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। হাইকোর্ট ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর সাজা ৫ বছর থেকে ১০ বছর বৃদ্ধি করা হয়। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর ২০২৫ সালের ১৫ জানুয়ারি আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিক্রমে তাকে খালাস দেয়। বিচারপতিরা এই মামলাকে ‘ম্যালিসাস প্রসিকিউশন’ বা বিদ্বেষমূলক হিসেবে গণ্য করেছেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, রাষ্ট্রপতির ক্ষমার পরও খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মামলার বিচারিক প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সময়ের পর আজ আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করে নির্দোষ প্রমাণ করেছেন।