কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, ৫ জনের রিমান্ড
১৬ জুলাই ২০১৮ ১৭:০৪
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বাসায় ঢুকে দুই কলেজছাত্রীর একজনকে ধর্ষণ ও আরেকজনকে শ্লীলতাহানির মামলায় পাঁচ বখাটেকে তিন দিনের রিমোন্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৬ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরান খান এ আদেশ দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ সারাবাংলা’কে বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
রিমান্ড শুনানিতে শাহাবুদ্দিন বলেন, পাঁচ আসামি তিনটি সুনির্দিষ্ট গুরুতর অপরাধ করেছেন। তারা ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে বাসায় প্রবেশ করে হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও চাঁদা দাবি করেছেন। একজন কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে সেটা ভিডিও করে ফেসবুকে প্রচারের হুমকি দিয়েছেন। আরেকজন ছাত্রীকে ধর্ষণের জন্য টানাহেঁচড়া করেছেন।
গুরুতর এসব অপরাধের বিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়েছিলেন কাজী শাহাবুদ্দিন।
পাঁচ বখাটে হলেন- সাইমুন ইসলাম সাকিব (২২), মো. মহিউদ্দীন (২২), আসিফ ইকবাল (২৫), রাজবির হোসেন নয়ন (২২) ও মোশারফ হোসেন আকাশ (২২)।
গত ৭ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানার বাদুরতলা জঙ্গি শাহ মাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে গত ১২ জুলাই রাতে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী থানায় মামলা দায়ের করলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
ঘটনার শিকার দুই তরুণী চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী। তাদের আইনি সহায়তা দিচ্ছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি আমিনুল হক বাবু।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, দুই ছাত্রী ও তাদের একজনের মা জঙ্গি শাহ মাজার এলাকায় একটি বাসায় থাকেন। ৭ জুলাই সন্ধ্যার দিকে ওই বাসায় ছাত্রীদের একজন পুরুষ সহপাঠী এবং শিক্ষক আসেন। এ সময় এক ছাত্রীর মা বাসায় ছিলেন না।
বিষয়টি দেখে ওই এলাকার ছয় বখাটে তাদের বাসায় গিয়ে দুই ছাত্রীসহ চার জনকে ফাঁদে ফেলে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা বাসায় ঢুকে দুই পুরুষকে নগ্ন করে তাদের মাঝখানে এক ছাত্রীকে বসিয়ে ছবি তোলেন। সেই ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করেন।
এ সময় এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তিনি সংজ্ঞা হারান। পরে বখাটেরা আরেক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।
পরে তারা ওই বাসা থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা এবং দুই পুরুষের কাছ থেকে দু’টি মোবাইল সেট নিয়ে বখাটেরা চলে যায়।
পরে ওই ছয় জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। বাকি একজন এখনও পলাতক।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর