নীলফামারী: নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় বুড়ি তিস্তা জলাধার খনন প্রকল্পকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)-এর বিরোধ সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে উত্তেজিত এলাকাবাসী যৌথ বাহিনীর উপস্থিতিতেই একটি আনসার ক্যাম্পে ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকসহ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোনো ধরনের জমি অধিগ্রহণ বা ক্ষতিপূরণ ছাড়াই তিন ফসলি জমিতে খনন কাজ শুরু করায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধে। বিক্ষুব্ধ লোকজনের অভিযোগ, প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে হাজার হাজার পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ধ্বংসের মুখে পড়েছে।
এলাকাবাসীদের নিয়ে গঠিত ‘জনগোষ্ঠী’ নামের সংগঠনের মুখপাত্র মো. আব্দুল আলিম জানান, ‘বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আজ সারাদেশে শোক পালন করার জন্য সরকারিভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন এটাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বুড়ি তিস্তা নদী খননের নামে এলাকাবাসীকে উত্তেজিত করতে শোক পালন না করে মাঠে নেমেছে। বিনা কারনে আমাদের আইনি জটিলতায় ফেলতে তারা ঘটনা সাজিয়ে আমাদের বিপদে ফেলতে চায়।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনী উপস্থিত থাকলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় উত্তেজনা আরও বাড়ে। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ জনতা কাছাকাছি অবস্থিত আনসার ক্যাম্পে ভাঙচুর চালায়। এ সময় কয়েকজন আহত হন, যাদের মধ্যে স্থানীয় সাংবাদিকও রয়েছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান কথা বলতে রাজি হননি।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরানুজ্জামান বলেন, ‘দেশে রাষ্ট্রীয় শোক চলমান থাকায় আগামী তিন দিন খনন কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এরপরও কেন কাজ শুরু করা হয়েছে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে হবে। তারাই এ বিষয়ে ভাল বলতে পারবে।’