‘ই-পাসপোর্ট নিয়ে আগামী সপ্তাহে জার্মানীর সঙ্গে চুক্তি’
১৭ জুলাই ২০১৮ ১৪:৫৫
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ই-পাসপোর্ট বিষয়ে আগামী সপ্তাহে জার্মানীর সঙ্গে চুক্তি করা হবে, বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অনুষ্ঠিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
ডিআরইউ সভাপতি মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. শুকুর আলী শুভর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গণমাধ্যমকর্মীদের একাধিক প্রশ্নের জবাব দেন।
ই-পাসপোর্ট বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ই-পাসপোর্টের বিষয়ে জার্মানি সরকারের সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে আগামী সপ্তাহে চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে। চুক্তি হয়ে গেলে দেশেই ই-পাসপোর্ট সেবা পাওয়া যাবে। প্রথম ৬ মাস জার্মানি সরকার আমাদের ই-পাসপোর্টের কাজ করে দেবে। তারপর থেকে আমরা নিজেরাই করবো। তবে আগামী ২ অথবা ৩ বছর জার্মানি সরকার থেকে আমরা এই বিষয়ে রক্ষণাবেক্ষণ সেবা নেব।’
দেশের নিরপত্তা নিয়ে বলতে গিয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা ২০১৪ সালে দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী সেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়।’
‘ওই সময়ের পরপরই গুলশান হামলার মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ইউরোপ, জাপানসহ বিদেশিরা এই দেশে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর পরিশ্রম করে নিরাপত্তা বিষয়ে বিদেশিদের আস্থা আনতে সক্ষম হয়। এখন বিদেশিরা একাধিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কাজ করছে।’
‘সবকিছুর আগে প্রয়োজন নিরাপত্তা, যা নিশ্চিত করতে পেরেছি। জাতিসংঘের ভাষায় টেকসই উন্নয়নের জন্য টেকসই নিরাপত্তা প্রয়োজন। আমরাও টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিতে যা যা প্রয়োজন করে যাচ্ছি।’
‘নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের জনবল বাড়িয়েছি। র্যাব পুনর্গঠন হতে যাচ্ছে। র্যাবের জন্য যা যা প্রয়োজন করা হবে। ৭০০ কিলোমিটার উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোস্ট গার্ডকে শক্তিশালী করেছি। বিজিবি শক্তিশালী করেছি। আমাদের প্রায় ৬০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক আনসার রয়েছে। এরা সকলেই প্রশিক্ষিত। যে কোনো সমস্যা মোকাবেলায় এরা প্রস্তুত।’
কোটা আন্দোলন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দিলে পুলিশ ক্যাম্পাসে অভিযান চালায় না। কোটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুলিশের সহায়তা চাওয়ার পরই অভিচান চালানো হয়েছে। ভিসির বাসায় যখন আক্রমণ হল তখন ভিসি নিজে আমাকে ফোন করে সহায়তা চেয়েছিলেন।’
বিদেশ থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত আনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিদেশ থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত আনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এই বিষয়ে একটি কমিটি কাজ করছে। প্রতিদিনই প্রায় ৫০ থেকে ১০০ জন করে অবৈধ বাংলাদেশি বিদেশ থেকে ফেরত আনা হচ্ছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অন্যায় করলে কেউ ছাড় পাবে না। পুলিশের ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নির্বাচনের সময় গ্রেফতার বা আটক সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়ারেন্ট বা অভিযোগ ছাড়া পুলিশ কখনো কাউকে নির্বাচনের সময় বা অন্য কোনো সময় আটক করে না। সামনের নির্বাচনেও এর কোনো হেরফের হবে না।’
সাগর-রুনী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ চলছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সারাবাংলা/জেআইএল/এমআই