মানব ভ্রূণ সম্পাদনা কি নৈতিক অনুমোদনযোগ্য?
১৭ জুলাই ২০১৮ ১৭:০৯
|| আন্তর্জাতিক ডেস্ক ||
ভবিষ্যতে নিখুঁত শিশু জন্মদানে মানুষের ডিএনএ সম্পাদনাকে অনুমোদন দেয়া নিয়ে অনেকদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। মানব ভ্রূণ সম্পাদনার নৈতিকতা কতটুকু, এ সংক্রান্ত এক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এটাকে অনুমোদন না দেয়ার সঠিক কোনো কারণই নেই।’
নিউফিল্ড কাউন্সিল অব বায়োটিকস এর করা ওই প্রতিবেদন বলছে, তবে বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাজ্যে আইন হওয়ার আগেই এর উপযুক্ত কারণ খতিয়ে দেখা উচিত। এর জন্য চিকিৎসা কেন্দ্রিক ও সামাজিক মূল্যবোধ সংক্রান্ত বিস্তর গবেষণা হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
তদন্তকারী দলের প্রধান প্রফেসর কারেন ইয়ুঙ বলেছেন, ‘এর ফলে সমাজে ব্যাপক, গভীর এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়তে পারে।’
যদিও বর্তমানে জিন সম্পাদনার মাধ্যমে প্রজনন ঘটানো যুক্তরাজ্যের আইনে নিষিদ্ধ, তারপরও কিছু ক্ষেত্রে গবেষণার খাতিরে এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা বর্ধিত ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) ভ্রূণের উপর জিন সম্পাদনা করতে পারেন, যতদিন না পর্যন্ত সেগুলো ধ্বংস হয়ে যায়।
এছাড়াও ঐতিহ্যগতভাবে জেনেটিক রোগে আক্রান্ত সুনির্দিষ্ট পরিবারের ক্ষেত্রে জিন সম্পাদনা করার অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হিসেবে বলা হয়েছে, এটা ‘ডিজাইনড বেবি বা ফরমায়েশি শিশু’ জন্মদানের মতো বিতর্কিত পদ্ধতির দরজা খুলে দিতে পারে।
হিউমেন জেনেটিকস এলার্টের পরিচালক ড. ডেভিড কিং নিউফিল্ড কাউন্সিল অব বায়োটিকস এর জিন সম্পাদনা সংক্রান্ত মন্তব্যগুলো পর্যালোচনা করে বলেছেন, ‘এটি একটি পরম অসদাচরণ। আমরা ৩০ বছর ধরে ইউজেনিক জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছি। কিন্তু বিজ্ঞানের এই দলটি মনে করছে এক্ষেত্রে চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো উপযোগিতা না পাওয়া গেলেও, এ ধরণের গবেষণা উন্মুক্ত রাখা উচিত। ডিজাইনড বেবি নিয়ে নিউফিল্ড কাউন্সিলের কোনো মাথাব্যথা নেই। ১৫ বছর আগেও ব্রিটেনের মানুষেরা জেনেটিক সম্পাদনার খাদ্য গ্রহণ করতে যেমন চায়নি। আপনি কি মনে করেন, জেনেটিক সম্পাদনায় জন্মানো শিশুদের প্রতি তাদের আগ্রহ রয়েছে?’
সারাবাংলা/এএস