রাজধানীতে দুই দিনের ‘ভারতীয় শিক্ষা মেলা’ শুরু
১৮ জুলাই ২০১৮ ১৭:৪১
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে শুরু হয়েছে দুই দিনের ভারতীয় শিক্ষা মেলা। মেলায় দেশটির ৫০টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্টল নিয়ে বসেছে। এসব স্টল থেকে দেশটিতে উচ্চ শিক্ষার সুবিধা-অসুবিধা জেনে নিচ্ছেন ঢাকার শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৮ জুলাই) ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এ মেলার উদ্বোধন করেন।
দুপুরে মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি স্টলেই শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন। কোনো কোনো শিক্ষার্থীর সঙ্গে এসেছেন অভিভাবকও। তারা দেশটিতে পড়াশোনার পরিবেশ, থাকা-খাওয়ার খরচ, বিষয়ভিত্তিক টিউশন ফি’র আদ্যপান্ত জানতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
গুলশানের একটি ইংশিল মিডিয়াম স্কুলের ছাত্র ফাহিম সুলতান ও তারা বাবা আহমেদ সুলতান এসেছেন মেলায়। তবে মাত্র ও’ লেভেল শেষ করায় এখনই ভর্তির সুযোগ মিলছে না ফাহিমের। কলকাতার আমিতি ইউনিভার্সিটির স্টল থেকে তার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো এ’ লেভেল শেষ করে তারপর ভারতে যাওয়ার।
অভিভাবক আহমেদ সুলতান বলেন, ‘দেশে শিক্ষার পরিবেশ দিন দিন যেভাবে খারাপের দিকে যাচ্ছে, তাতে একটু আগেই খোঁজ-খবর নিয়ে রাখছি। পরিস্থিতি অনুকূলে মনে হলে ভারতেই ছেলেকে পড়তে পাঠাবো। ওখানে খরচও বাংলাদেশের চেয়ে কম।’
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ, চেন্নাই ও দিল্লিতে ক্যাম্পাস রয়েছে ‘এসআরএম ইনন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’। ঢাকায় তাদের অফিসিয়াল কার্যক্রম চালায় জিইই বাংলাদেশ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মো. শাহনেওয়াজ আলী জানান, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি সারা বিশ্বের মধ্যে র্যাংকিংয়ে ৫০০ এর মধ্যে। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বিশেষ করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য ৭১ ভাগ স্কলারশিপ দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।
ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের সার্বিক সহায়তায় এ মেলার আয়োজক ‘সেপ ইভেন্টস অ্যান্ড মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড’। বাংলাদেশে সেপের এটি পঞ্চম আয়োজন।
এর আগে সকালে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এ মেলার উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার জন্য ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। এখানে প্রায় ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয় ও ৩৮ হাজার কলেজ রয়েছে। ইংরেজি ভাষাভাষী বিশ্বের ২য় বৃহত্তম দেশ এবং আধুনিক সুবিধাসহ বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে।’
ভারতে মোট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় ৮০০; প্রকৌশল কলেজের সংখ্যা ৫৬৭২টি;আন্তর্জাতিক স্কুলের সংখ্যা ৬৮৭টি; কারিগরি শিক্ষায় ডিপ্লোমা আসন ১.২ মিলিয়ন, কারিগরি শিক্ষায় স্নাতক পর্যায়ে আসন সংখ্যা ১.৭ মিলিয়ন, কারিগরি শিক্ষায় স্নাতকোত্তর পর্যায়ে আসন সংখ্যা ০.৫ মিলিয়ন।
‘ভারতে উচ্চশিক্ষা’ ভারত সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের একটি নতুন প্রকল্প উল্লেখ করে হাইকমিশনার শ্রিংলা আরো বলেন, ‘ভারত সরকার ১০০টি শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২ হাজার ৫০০ কোর্সে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ টেকনোলজি (এনআইটি), ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউটস অফ টেকনোলজি (আইআইটি) ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউটস অফ ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম) ১৯ হাজার আসনে ভর্তির সুযোগ দিচ্ছে। এই প্রকল্পে ৯ হাজার ৫০০ এর বেশি ফি ছাড়/বৃত্তি রয়েছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এ সুবিধা সব সময় অবারিত থাকবে।’
আরও পড়ুন: মহাসড়কের পাশে কোন গরুর হাট বসবে না : ওবায়দুল কাদের
সারাবাংলা/এমএস/এমও