হুমায়ূনের নামে চত্বর বা রাস্তার নামকরণের স্বপ্ন শাওনের
১৯ জুলাই ২০১৮ ১৫:৪৪
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক, কথার জাদুকর হুমায়ূন আহমেদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিত। আজ (১৯ জুলাই) বাদ যোহর তারা সমাধিতে এসে দোয়া করেন ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এসময় স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন হুমায়ূন আহমেদের নামে কোনো চত্বর বা রাস্তার নামকরণ হওয়ার স্বপ্নের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘অনেক স্বপ্নই তো থাকে। এটাকে আমরা দাবি বলব না। আমার খুব ইচ্ছা বা এটাকে আমার স্বপ্ন বলতে পারেন। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর ছয় বছর হয়ে গেল। যদি তার নামে কোনো রাস্তার নামকরণ হতো, তাহলে খুব ভালো লাগত। কিংবা কোনো চত্বর। ধরুন বাংলা একাডেমির কোনো চত্বরের নাম যদি হতো হুমায়ূন আহমেদের নামে, তাহলে আমার খুব ভালো লাগত। আমার ধারণা সবারই ভালো লাগত। বাংলাবাজার, যেখানে হুমায়ূন আহমেদসহ অনেক বরেন্য সাহিত্যিকের বই নিয়ে কারবার। সেখানকার কোনো রাস্তার নাম যদি হতো হুমায়ূন আহমেদ সড়ক। তাহলে একটা স্বপ্ন পুরণ হতো’।
এদিকে প্রিয় লেখকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল থেকেই হুমায়ূন আহমেদের ভক্তরা ভিড় করেছেন নুহাশ পল্লীতে। নুহাশ পল্লীর লিচু তলায় ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করেন প্রিয় লেখককে।
মৃত্যুবার্ষিকীতে গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে কোরআন খানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং এতিমদের খাবার বিতরণসহ নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচী।
সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে থাকেন নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের ভক্তরা। হলুদ পাঞ্জাবী পড়া হিমুরাও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন হুমায়ূনের সমাধিতে। আগত দর্শনার্থীরা বলছেন, হুমায়ূন মানুষের মনি কোঠায় থাকবেন তার অমর লেখনী দিয়ে। তবে হিমু চরিত্রের সিরিজ সম্পন্ন না হওয়ায় সেটি নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে ভক্তদের মধ্যে। তারা তাদের আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ‘এখনো জোছনা ওঠে, এখনো বৃষ্টি হয়, কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ থাকেন না। হিমুদের নিয়ে আর কোনো কথা, আর কোনো লাইন আর লেখা হবে না। এটা অনেক কষ্টের।’
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জম্ম গ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। তার বাবা ফয়েজুর রহমান ও মা আয়েশা ফয়েজ। ২০১২ সালে ১৯ জুলাইমরন ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান।
সারাবাংলা/পিএ/পিএম