Monday 13 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেশে দেশে বর্ষবরণ


২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ২২:০৬ | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ২২:১৬

সারাবাংলা ডেস্ক

প্রতিটি দেশেই কিছুটা ভিন্ন রীতিতে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়। এক এক দেশে রয়েছে এক এক রীতি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বর্ষবরণের ছবি নিয়ে এবারের আয়োজন। আছে ১২টি দেশের ১২টি রীতি।

গ্রীস:

নতুন বছরের শুরুতে গ্রীকরা তাদের বাড়ির সামনে পেঁয়াজ ঝুলিয়ে রাখে। তারা মনে করে এর মাধ্যমে নতুন বছরটি তাদের জন্য  অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠবে। এ ছাড়াও গ্রীসে সৌভাগ্য ও উন্নতির প্রতীক হিসেবে ধরা হয় ডালিমকে। বছরের প্রথম দিন সকালে দরজার সামনে একটি ডালিম ফাটিয়ে তবে বাড়িতে প্রবেশ করার রীতি রয়েছে সেখানে।

 

এস্তোনিয়া:

এস্তোনিয়াতে ঐতিহ্যবাহী প্রথা হিসেবে বছরের প্রথম দিনে ১২রকমের খাবার খাওয়া হয়। তাদের বিশ্বাস ১২রকমের খাবার খেলে নতুন বছরে তারা ১২জন লোকের সমান শক্তি পাবে।

 

ফিনল্যান্ড:

ফিনল্যান্ডের বর্ষবরণ একটু আলাদা। সেখানকার অধিবাসীরা ‘হর্স সু’ নামের এক ধরনের ধাতব খেলনা আগুনে গলিয়ে ঠান্ডা বরফের মধ্যে ঢেলে দেয়। এরপর তরল ধাতব পদার্থটি সঙ্গে সঙ্গে জমাট বেঁধে যায়। জমাট বাঁধা নতুন ধাতব খণ্ডটির আকার আকৃতি দেখে তারা নতুন বছর সম্পর্কে নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা দাঁড় করায়, কেমন যাবে নতুন বছর।

 

ইতালি:

গণ চুম্বন। ইতালির সেন্ট মার্কস স্কয়ারে হাজারও মানুষ একসঙ্গে হয়ে গণ চুম্বনের মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করে থাকে।

 

 

বেলারুশ:

একটি খেলার অায়োজনের মাধ্যমে বেলারুশে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়। যেখানে কয়েকজন অবিবাহিত নারীকে বৃত্তাকারে দাঁড় করিয়ে প্রত্যেকের সামনে ভুট্টার স্তুপ রাখা হয়। বৃত্তের একেবারে মাঝখানে রাখা থাকে সেগুলোর একটা তালিকা।  ভুট্টার স্তুপ সরিয়ে যে ই প্রথম তালিকাটা তুলতে পারে, পরের বছর প্রথমেই তার বিয়ে দেয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

 

রোমানিয়া:

রোমানিয়ার স্থানীয় পৌরানিক কাহিনী অনুসারে সেখানে ভাল্লুককে ভীতিকর প্রাণি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাই নতুন বছরের শুরুতে রোমানিয়ার জিপসি সম্প্রদায়ের লোকজন সত্যিকারের ভাল্লুকের চামড়া পরে রাস্তায় বেরিয়ে আনন্দ মিছিলের মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ ও পুরান বছরের অশুভ শক্তিকে তাড়িয়ে দেয়।

 

জাপান:

জাপানে বৌদ্ধ মন্দিরে ১০৮ বার ঘন্টা বাজিয়ে নতুন বছরের দেবতাকে আহ্বান করে নতুন বছরকে বরণ করা হয়। এ ছাড়াও নতুন বছরকে স্বগত জানাতে তারা ঘোর-দোর পরিষ্কার করে এবং পরিচিতজনদের শুভেচ্ছা কার্ড পাঠিয়ে থাকে।

 

চিলি:

চিলির নাগরিকরা নতুন বছরের প্রথম দিনে তাদের পূর্বপুরুষের কররস্থান পরিদর্শক করে করে নতুন বছরের শুরু করে। তারা মনে করে পূর্ব পুরুষরা তাদের ভালোবাসতো এ কারনে বছরের শুরুটা তাদের সঙ্গে কাটানো উচিৎ।

 

কানাডা:

‘পোলার বিয়ার সুইম’-এর মাধ্যমে কানাডায় নতুন বছর বরণ করা হয়। বছরের শুরুতে তারা ইংলিশ উপসাগরের বরফ ঠান্ডা পানিতে নেমে হই হুল্লোড় করে বর্ষবরণ করে।

 

ব্রাজিল:

ব্রাজিলের নাগরিকরা সমুদ্রে সাদা রঙের ফুল ভাসিয়ে সমুদ্র দেবতার কাছে মনের ইচ্ছা প্রকাশের মাধ্যমে নতুন বছরের শুরু করে।

 

পেরু:

পেরুতে একটু ভিন্নভাবে নতুন বছর বরণ করা হয়ে থাকে। অনেক মানুষ একসঙ্গে গণ লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে নতুন বছরের শুরু করে। যেখানে একজন ব্যক্তি শুধু আরেকজন মানুষের সাথেই লড়াই করে।

 

ইকুয়েডর:

বিগত বছরের দুর্ভাগ্যকে স্মরণ করে কিছু মানুষের মূর্তি তৈরি করে ইকুয়েডরের মানুষ । এরপর সেগুলো রাস্তায় নিয়ে পোড়ানো হয়। তাদের ধারণা এর মাধ্যমে দুর্ভাগ্য দূর হবে আর সৌভাগ্য ফিরে আসবে।

বিজ্ঞাপন

 

সারাবাংলা/এমআই

বিজ্ঞাপন

লিটনের দুই অনুপ্রেরণা কারা?
১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:১৩

আমার প্রমাণ করার কিছু নেই: লিটন
১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:৫২

আরো

সম্পর্কিত খবর