ফের হজ এজেন্সিতে দুদকের অভিযান: অনিয়ম উদঘাটন
১৯ জুলাই ২০১৮ ১৯:৩৮
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: দুর্নীতি ও মানবপাচার বন্ধে ফের নয়া পল্টনের হজ এজেন্সিগুলোতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আর সেই অভিযানে ফের বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম পেয়েছে সংস্থাটি। এর আগে, কেবল জুলাই মাসেই এই এলাকার বিভিন্ন হজ এজেন্সিতে পাঁচ দফা অভিযান চালিয়েছে দুদক।
জানা গেছে, হটলাইনে অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবারও (১৯ জুলাই) নয়া পল্টন এলাকার বিভিন্ন হজ এজেন্সিতে দুদক অভিযান চালায়। দুদকের উপপরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা এবং সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের সমন্বয়ে পুলিশসহ ৯ সদস্যের একটি দল অংশ নেয় এ অভিযানে।
বৃহস্পতিবারের অভিযানে নয়া পল্টনের কাজী টাওয়ারে অবস্থিত কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনালে দুদক টিম দেখতে পায়, এই হজ এজেন্সির কাছে প্রকৃত হাজযাত্রীর সংখ্যার সমর্থনে কোনো কাগজপত্র নেই। নিবন্ধন করা প্রত্যেক হজ এজেন্সির কমপক্ষে দেড়শ জন হজযাত্রী পাঠানোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও মাত্র ৭৫ জন হজযাত্রীকে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়াও সৌদি আরবে হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া, মুয়াল্লাম ফি ও অন্যান্য রশিদপত্রও পাওয়া যায়নি এই এজেন্সির কাছে।
একই ভবনে অবস্থিত কাজী ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখা যায়, হজ এজেন্সিটি গত বছরের অডিটে চার লাখ টাকারও বেশি কর ফাঁকি দিয়েছে। দুকক বলছে, বড় অঙ্কের কর ফাঁকির এ ঘটনার পরও প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদন পাওয়া বিস্ময়কর। অভিযান পরিচালনায় নেতৃত্ব দেওয়া টিমের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ধরনের অনিয়ম প্রতিরোধে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
অভিযান প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জানান, আমাদের লক্ষ্য, হজকেন্দ্রিক দুর্নীতির সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া এবং অব্যাহত অভিযানের মাধ্যমে হজযাত্রীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতন করে তোলা।
জানতে চাইলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য সারাবাংলা’কে বলেন, ‘নয়া পল্টনের বিভিন্ন হজ এজেন্সিতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম পাওয়া গেছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
জানা গেছে, এর আগে ২, ৪, ৯ ও ১৫ জুলাই বিভিন্ন হজ এজেন্সিতে অভিযান চালায় দুদক। প্রতিটি অভিযানেই দুর্নীতিবিরোধী সচেতনামূলক লিফলেটও বিতরণ করা হয়েছে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর