তীব্র গরমে হাঁসফাঁস
২০ জুলাই ২০১৮ ১৪:০৭
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।
দিনাজপুর: নেই বৃষ্টি, নেই বাতাস। বাড়ছে দাবদাহ। একদিকে গরম, অন্যদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে দিনাজপুরের জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। কয়েকদিনের তীব্র দাবদাহে দিনাজপুরের স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নানা রকম রোগব্যাধি। বাড়ছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তীব্র গরম ও রোদে জনজীবনের পাশাপাশি কাহিল হয়ে পড়ছে প্রাণীরাও। এই গরম থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন ডোবা-জলাশয়ে প্রাণীদের ডুবে থাকতে দেখা গেছে।এতে বেশি কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছে দিন মজুর শ্রেণির মানুষ। চড়া রোদে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেনা সাধারণ মানুষ।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন একই রকম তাপমাত্রা বিরাজমান থাকলেও চলতি মাসের ২৪ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত স্বস্থির বৃষ্টি দেখা দিতে পারে।
দিনাজপুর শহরের দক্ষিণ বালুবাড়ী কলেজপাড়া এলাকার রিকশাচালক বাবুল মিয়া জানান, যে তীব্র গরম পড়ছে তার মধ্যে আবার রোদের তাপ। রিকশার চাকায় হাওয়া থাকছে না। গরমে রিকশা চালাতেও খুব কষ্ট হচ্ছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদফতরের পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জুর রহমান জানান, বর্তমানে এই অঞ্চলের উপর দিয়ে তাপদাহ প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজ শুক্রবার সকালে দিনাজপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আজও গতকালের মতোই তাপমাত্রা হবে। আজকে বাতাসের আদ্রতা ৫০ শতাংশ। গরমের এই তীব্রতা আর বৃদ্ধি না পেলেও আগামী দুই একদিন এরকম গরম থাকবে। তবে চলতি মাসের ২৪ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত ভারি বর্ষণের সম্ভবনা রয়েছে।
এ দিকে তীব্র গরমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সাবধানতার সাথে চলাচল ও বেশি করে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। সেই সাথে পানিশূন্যতা মূলক কোন রোগ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলছেন তারা।
সারাবাংলা/এমএইচ