।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ চলছে। শুক্রবার (২০ জুলাই) দুপুর ৩টায় এ সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগেই নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হন বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থক। হাতে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার, মাথায় হেডার ও ব্যাজ পরে হাজির হন কর্মী-সমর্থকরা। তাদের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় পল্টন সড়ক।
সমাবেশে হাজির হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ দলের শীর্ষ ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
এদিকে সমাবেশে আসা কর্মী-সমর্থকদের অবস্থানের কারণে নয়াপল্টন সড়কের দুই পাশে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। শুরুর দিকে পুলিশি তৎপরতায় সীমিত পরিসরে যান চলাচল করলেও বিকেল ৩টার পর পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করার জন্য গত পাঁচ মাসে অসংখ্যবার অনুমতি চেয়েছে বিএনপি। এবার অনুমতি পাওয়ার পর বড় সমাবেশ করার প্রস্তুতি নেয় দলটি।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিদ্যুত ও ল্যাম্পপোস্টের খুঁটিতে প্রায় অর্ধশত মাইক লাগায় বিএনপি। সকালে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ সারাবাংলাকে জানান, নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনের সড়কের পূর্বে দিকে পল্টন মসজিদ এবং পশ্চিম দিকে ঢাকা ব্যাংক ভবন পর্যন্ত মাইক লাগানোর মৌখিক অনুমতি পাওয়া গেছে। অনুমোদিত এই জায়গাটুকুই সমাবেশের জন্য ব্যবহার করতে পারবে তারা।
এদিকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে সমাবেশের অনুমতি পেলেও বড় ধরনের লোক সমাগম প্রত্যাশা ছিল বিএনপির। দীর্ঘ দিন পর সমাবেশ করার অনুমতি কাজে লাগানোর জোর প্রচেষ্টা ছিল তাদের। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দলের নেতা-কর্মী, সমর্থকদের বিশাল জমায়েতের মাধ্যমে সরকারকে বিশেষ বার্তা দিতে চেয়েছিল তারা।
সমাবেশে বিপুল সংখ্যক লোকের উপস্থিতি সেই প্রত্যাশার অনেকটাই পূরণ হয়েছে বলে মনে করছেন দলটির নেতারা। বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘অনুমতি পাওয়ার পর ফোন করে বিএনপির সব ইউনিটের দায়িত্বশীল নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়। আমরা যেমনটি প্রত্যাশা করেছিলাম তার অনেকটাই পূরণ হয়েছে।’
তবে সমাবেশের অনুমতি পেলেও সময় স্বল্পতার কারণে মঞ্চ তৈরির সুযোগ পায়নি বিএনপি।
এদিকে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়- সেজন্য মাঠে রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কয়েকশ সদস্য। সমাবেশের জন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু শর্ত। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে— বিকেল ৫টার মধ্যেই সমাবেশ শেষ করতে হবে। লাঠি, বাঁশ, ছুরি, কাঁচি, বিস্ফোরক দ্রব্য মিছিলে ব্যবহার করা বা সমাবেশে নেওয়া যাবে না। সমাবেশ চলাকালীন রাস্তা দখল করে নেতা-কর্মীরা দাঁড়াতে পারবে না। বিএনপির নেতা-কর্মীরা কোনো ফৌজদারি অপরাধে জড়ালে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
পুলিশের পল্টন জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, বিএনপি সমাবেশ ডেকেছে, তারা সমাবেশ করবে। সমাবেশের নামে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
সারাবাংলা/এজেড/জেএএম/এটি
আরও পড়ুন