Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রতিকূলতা মোকাবিলায়, ঘুরে দাঁড়াতে জানে বাংলাদেশ


২০ জুলাই ২০১৮ ১৯:৪০

।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।

প্রতিকূলতা মোকাবিলায় বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে জানে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরাম (এইচএলপিএফ) এ বক্তৃতা প্রদানকালে তিনি একথা বলেন।

রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নে সাফল্যের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, সবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলে। এমডিজি বাস্তবায়নের সফল অভিজ্ঞতা নিয়েই এসডিজি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ। আমরা এসডিজি’র লক্ষ্যসমূহকে দেশের জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার সাথে একীভূত করেছি। সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায় থেকে এসডিজি’র বাস্তবায়ন সমন্বয় করা হচ্ছে আর এতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে এসডিজি’র প্রতি আমাদের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি কতটা দৃঢ়।

বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়নে ‘পুঁজির সরবরাহ’, ‘ডেটা গ্যাপ’, ‘চতুর্থ শিল্প বিল্পবের প্রেক্ষাপটে বৈষম্য মোকাবিলা ও উপযুক্ত চাকুরির বাজার সৃজন’ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জসমূহের কথা উল্লেখ করেন স্থায়ী প্রতিনিধি। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের তীব্র প্রভাব বাংলাদেশের কৃষি খাত ও খাদ্য নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে মর্মেও উল্লেখ করেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত বলেন, এসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদেরকে শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন খাতে ব্যাপক সংস্কারের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে যাতে নতুনভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয় এবং প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সুবিধা আমরা গ্রহণ করতে পারি।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, ‘টেকসই ও প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম সমাজে রূপান্তর’ প্রতিপাদ্য নিয়ে গত ৯ জুলাই ২০১৮ থেকে শুরু হওয়া জাতিসংঘের এবারের হাই-লেভেল পলিটিক্যাল ফোরাম (এইচএলপিএফ) মন্ত্রী পর্যায়ের ঘোষণা গ্রহণের মধ্য দিয়ে ১৮ জুলাই শেষ হয়েছে। এইচএলপিএফ এর শেষ তিন দিন ছিল মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ১৬ জুলাই মন্ত্রী পর্যায়ের সেগমেন্টের উদ্বোধনীতে অংশগ্রহণ করেন।

এবারের মন্ত্রী পর্যায়ের ঘোষণায়, এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল এবং স্বল্পোন্নত দেশসমূহকে উন্নত দেশগুলোর আর্থিক, কারিগরী ও অন্যান্য সহযোগিতা প্রদান, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নসহ অন্যান্য সকল বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন ইস্যুতে রাষ্ট্রসমূহের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন ইত্যাদি বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়।

সারাবাংলা/এনএইচ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর