।।স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: আওয়ামী লীগ আয়োজিত আজকের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন বলে প্রত্যাশা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
শনিবার (২১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রত্যাশার কথা জানান।
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোটের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।
সভায় ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘আজ (শনিবার) প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে। সরকারি খরচে বিশাল আয়োজন সম্পন্ন করা হচ্ছে। তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আমাদেরও একইভাবে সমাবেশ করতে দিতে হবে।’
‘প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে অনেক লোক হবে। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণ হবে তিনি এবং তার দল অনেক জনপ্রিয়। আমরা আশা করব, এই জনপ্রিয়তা প্রমাণের জন্য আজকের গণসংবর্ধনা থেকে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন’— বলেন মওদুদ।
‘ভোল্ট থেকে সোনা চুরির দায় স্বীকার করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভোল্ট থেকে সোনা চুরি এই সরকারের দুর্নীতির প্রকট দৃষ্টান্ত। এর আগে ৮শ’ কোটি টাকা চুরি হয়েছে। তখনকার গভর্নর আতিউর রহমান দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন। সুতরাং আজকেও এই সোনা চুরির ব্যাপারে দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সরকারের। বর্তমান গভর্নরের উচিত হবে অবিলম্বে পদত্যাগ করা।’
‘তিনি যদি সেখানে থাকেন, তাহলে সুষ্ঠু তদন্ত সম্ভব হবে না। সরকারের তদন্ত সংস্থাগুলো বলছে, ভোল্টের সোনা তামা হয়ে গেছে। সরকার বলছে, এটা অংকের হেরফের। এটা হতে পারে? ৮০ থেকে থেকে ৭৯ হতে পারে, ৮০ থেকে ৪০! সুতরাং দেশের মানুষ কখনই এটা গ্রহণ করবে না’— বলেন মওদুদ আহমদ।
তিনি বলেন, ‘এখন বাংলাদেশ ব্যাংক হয়ে গেছে সোনা চোর এবং টাকা চোরের। সব চেয়ে বড় ব্যাংকে এ অবস্থা হলে বাকি ব্যাংকগুলোতো আর টিকে থাকার কথা না।’
আদালতের ওজুহাত দেখিয়ে কোটা সংস্কার থেকে সরে আসার সুযোগ নেই উল্লেখ করে মওদুদ আহমদ বলেন, ’১১ এপ্রিল সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই কোটা পদ্ধতি আমি তুলে দিলাম। কোনো সংস্কার নয়, পুরো কোটা পদ্ধতি তুলে দেওয়া হলো। এখন তিনি বলছেন কোটা পদ্ধতি থাকতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা বাতিল করা যাবে না।’
‘উনি (প্রধানমন্ত্রী) সুপ্রিম কোর্টের একটা রায়ের রেফান্সে বলতে চাচ্ছেন, রায়ের বিরুদ্দে আমরা যেতে পারব না। কিন্তু আমি আপনাদেরকে জানাতে চাই, সুপ্রিম কোর্টে এমন কোনো রায় নাই, যে রায়ে বলা হয়েছে এই কোটা পদ্ধতি সংস্কার করা যাবে না’— বলেন মওদুদ।
তিনি বলেন, ‘আমি আহ্বান জানাই আওয়ামী লীগের যে কোনো নেতাকে, তারা এটা দেখাক আদালতের রায়ে বলা হয়েছে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করা যাবে না।’
গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা সালাম ওমর রুবেলের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহম্মদ রহমতউল্লাহ প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/টিআর