।। ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং চট্টগ্রাম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষক রাজীব মীরের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার (২২ জুলাই) দুপুর তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র টিএসসি মাঠেও নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বিভাগীয় অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনে সভাপতি সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান, রাজীব মীরে সহপাঠী ও প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ তার সহকর্মী, সহপাঠী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তার লাশ বহনকারী শ্রীলঙ্কান বিমানের একটি ফ্লাইট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। রাজীব মীরের নামাজে জানাজা ২৩ জুলাই সোমবার সকাল ৯টায় ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এবং এরপর মরহুমের নিজ এলাকা পরাণগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক রাজীব মীর শুক্রবার (২০ জুলাই) ভারতের চেন্নাইয়ের গ্লোবাল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টা ৩৭ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এর আগে, বেশ কয়েক মাস ধরে তিনি লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন। চলতি সপ্তাহে তার অপারেশন ও লিভার প্রতিস্থাপনের কথা ছিল। গত ১৭ জুলাই রাতে রাজীব মীর স্ট্রোক করেন। এরপর তাকে গ্লোবাল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। রাত ১টা ৩৭মিনিটে রাজীব মীরের লাইফ সাপোর্ট খুলে দিয়ে তাকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা। লিভার প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ রাজীব নিজেই হাসপাতালে জমা দিয়েছিলেন। ডোনারসহ সবকিছুই প্রস্তুত ছিল। কিন্তু অস্ত্রোপচারের সুযোগ পাওয়া যায়নি। অবশেষে না ফেরার দেশে চলে যান রাজীব মীর।
সারাবাংলা/এনআর/এমআই