Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট র‍্যাংকিং-এ ৯ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ


২২ জুলাই ২০১৮ ২১:৪৪

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: সারাবিশ্বে দেশগুলোর ডিজিটাল গভর্নমেন্ট তৈরি করে তথ্যপ্রযুক্তিকে ব্যবহার করে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকশই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সহজ করতে জাতিসংঘ একটি জরিপ চালায়। ২০০১ সাল থেকে শুরু হওয়া ইউএন ই-গভর্নমেন্ট সার্ভে রিপোর্ট নামে প্রকাশিতে এই গবেষণার এ বছরের গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশ ০.৪৭৬৩ পয়েন্ট পেয়ে ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১১৫ তম স্থান অর্জন করেছে।

রোববার (২২ জুলাই) বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সম্মেলন কক্ষে অ্যাকসেস টু ইনফরমেশনের পলিসি বিষয় উপদেষ্টা আনির চৌধুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

আনির চৌধুরি জাতিসংঘেরএ বছরের ই-গভর্মেন্ট সার্ভের চুম্বক অংশ পড়ে শোনান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে শুরু থেকে যুক্ত। দুইবছর পর পর প্রকাশিত এই র‍্যাংকিং-এ বাংলাদেশ ২০১৬ সালে ১৪৮তম অবস্থানে। এ বছর বাংলাদেশে আরও ৯ ধাপ এগিয়ে ১১৫ তম অবস্থানে এসেছে। গত তিন র‍্যাংকিং-এ বাংলাদেশ মোট ৩৫ ধাপ এগিয়েছে।

আনির চৌধুরি বলেন, ‘আইসিটি টুল ব্যবহার করে আইসিটি সেবা তৈরি এবং মোবাইল বা ওয়েব অ্যাপের মাধ্যমে তা উপস্থাপনা করায় বাংলাদেশের মূল উন্নতি হয়েছে। এ ছাড়াও হিউম্যান ক্যাপিটেল সূচক ও টেলিকমিউনিকেশন সূচকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখন উন্নতি করি তখন অন্যরাও নিজেদের অবস্থান উন্নত করতে কাজ করে। এই প্রতিযোগিতা থেকে আমাদের নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন সংস্থাগুলোর সহোযোগিতা বেড়েছে, আমরা হালনাগাদ উন্মুক্ত তথ্য উপস্থাপন করতে শুরু করেছি। অগ্রাধিকার নির্ণয় করতে শিখেছি এবং জনগণের মধ্যে ই পার্টিসিপেশন বেড়েছে।’

বিজ্ঞাপন

আনির চৌধুরি আরও জানান, ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইন্ডেক্সে বাংলাদেশের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে ২০ তম দেশ হওয়া এবং ই-পার্টিসিপেশনে বিশ্বের প্রথম ৫টি দেশে জায়গা করে নেওয়া।

ই-গর্ভমেন্টে বাংলাদেশের ধীরে ধীরে উন্নয়নের যাত্রার কথা উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, আইসিটি উন্নয়নে চারটা স্তম্ভ নিয়ে নির্ধারণ করে কাজ করছে। এগুলো হলো হিউম্যান রিসোর্স, নাগরিকদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন, ই-গর্ভরনেন্স এবং আইসিটির সহযোগিতা।

তিনি আরও বলেন এখন আমরা কাজ করছি মোবাইলে বিল পে সার্ভিসগুলোর মধ্যে সংযোগ তৈরিতে এটা করতে পারলে লেনদেন আরও অনেক সহজ হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জাব্বার বলেন, ‘আমরা মনে করি ইন্টারনেট ব্যবহার বেঁচে থাকার একটি মৌলিক চাহিদা। আমরা এখন ইন্টারনেট ব্যবহার বিনামূল্যে এবং সহজকরণের চেষ্টা চালাচ্ছি।’

সারাবাংলা/এমএ/একে

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর