Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হাসপাতাল ক্লিনিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য তালিকা টানাতে হবে


২৪ জুলাই ২০১৮ ১৬:০৮

। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।। 

ঢাকা: বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ল্যাবেরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার  মূল্য তালিকা করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জনসম্মুখে টানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো.খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

আদালত তার আদেশে বলেছেন, মেডিকেল অর্ডিন্যান্স ১৯৮২ অনুসারে নীতিমালা তৈরি এবং বাস্তবায়নের জন্য ৬০ দিনের মধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে হবে।

এছাড়া চলমান হাসপাতাল এবং ক্লিনিক ও ডায়গনিস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স অনুমোদন, তাদের সেবার বিষয় তদারকি এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য নীতিমালা তৈরির কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করেছেন আদালত। একই সঙ্গে জেলা সদরের সব হাসপাতালে আইসিউ/সিসিইউ স্থাপনের  নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তাও  জানতে চেয়েছেন আদালত।

এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৭ অক্টোবর দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।

হিউম্যান রাইটস লইয়ার্স এন্ড সিকিউরিং এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষে কোষাধক্ষ্য মো. শাহ আলম এ রিট দায়ের করেন।আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী  সাংবাদিকদের বলেন, ‘হিউম্যান রাইটস ল’ইয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিং ইনভায়রনমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট বশির আহমেদ জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত নীতিমালা তৈরির জন্য আগামী ৬০ দিনের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতে যে অনিয়মগুলো হচ্ছে  তা দূর করতেও  রুল জারি করেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

নির্দেশনায় প্রত্যেকটা বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ডায়াগনেস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন পরীক্ষার ফি’র তালিকা ১৫ দিনের মধ্যে উন্মুক্ত জায়গায় প্রদর্শন করতে হবে।

প্রত্যেকটা জেলা সদরে সরকারি হাসপাতালে ইন্টেসিভ করোনারি কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) ও করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) সুবিধা থাকার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

এছাড়া ১৯৮২ সালের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনোস্টিক সেন্টার নিয়মিত পরিদর্শন এবং একই নিয়ন্ত্রনে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

রিটকারির আইনজীবী বশির আহমেদ বলেন, দেখা যাচ্ছে বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ছাড়াও চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে আমাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। একই সঙ্গে সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তা স্বাস্থ্যের অধিকার রয়েছে। এ কারনে তিনি আদালতের দ্বারস্ত হয়েছেন বলেও তিনি জানান।

 

সারাবাংলা/এজেডকে/জেডএফ

বিজ্ঞাপন

আদানি গ্রুপের নতুন সংকট
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৬

আরো

সম্পর্কিত খবর