মানবতাবিরোধী অপরাধ: খুলনার ১১ যুদ্ধাপরাধীর তদন্ত সম্পন্ন
২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৪:০২
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের সময় ২২ জনকে হত্যা, আটক, নির্যাাতনের অভিযোগে যুদ্ধাপরাধ মামলায় খুলনার ডুমুরিয়া থানার শেখ আব্দুর রহিমসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
তদন্ত সংস্থার ধানমণ্ডি কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার সংস্থার সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান এ তথ্য জানান।
আব্দুর রহিম ছাড়া মামলার অন্য ১০ আসামি হলেন— সামছুর রহমান গাজী ওরফে মেঝো ভাই (৮২), মো. ওমর আলী ফকির (৭০), জাহান আলী বিশ্বাস (৬৭), মো. আক্কাস সরদার (৬৮), নাজের আলী ফকির (৬৫), মো. শাহাজাহান সরদার (৭৫), আব্দুল করিম শেখ (৬৫), আবু বক্কার সরদার (৬৭), মো. রওশন গাজী ওরফে রওশন মল্লিক (৭২) ও মো. সোহরাব হোসেন সরদার ওরফে মুহাম্মদ আব্দুল হামিদ (৬২)।
১১ আসামির মধ্যে মো. ওমর আলী ফকির ও মো. আক্কাস সরদার পলাতক। বাকিরা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন বলে জানান তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হান্নান খান।
হান্নান খান বলেন, ‘এ মামলাটি খুলনার ডুমুরিয়া থানার খর্ণিয়া ইউনিয়নের। এই রাজাকাররা একাত্তর সালে খর্ণিয়া ইউনিয়ন পরিষদ অফিস দখলে নিয়ে রাজাকার ক্যাম্প স্থাপন করেছিল। ওই ক্যাম্পে তারা প্রশিক্ষণও নিয়েছে। এ ছাড়া মমালা তদন্তকালে রাজাকারদের তালিকায় তাদের নাম পাওয়া যায়। এই আসামিরা ডুমুরিয়া থানার ওই এলাকায় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত করেছে।’
প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠণ, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা ও হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের ৬টি অভিযোগ আনা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসামিরা মুক্তিযুদ্ধের সময় ২২ জনকে হত্যা ছাড়াও ওই সময় ৫৬-৫৭টি বাড়ির মামলার লুণ্ঠন করার পর আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় খুলনার আনসার ক্যাম্প দখরে নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী রাজাকারদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প করেছিল।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলে তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল হক ও মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হেলাল উদ্দীন।
সারাবাংলা/এজেডকে/টিএম/আইজেকে