কয়লা গায়েব: ৪ কমকর্তার দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুদকের চিঠি
২৪ জুলাই ২০১৮ ১৮:৪৩ | আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৮ ১৮:৪৬
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির দুর্নীতির ঘটনায় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) চার জনের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইমিগ্রেশন বিভাগে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে বিকল্পভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা কেন রাখা হয়নি, তা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে জানতে চেয়েছে সংস্থাটি।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, পেট্রোবাংলা ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে এ সংক্রান্ত কাগজপত্রও চাওয়া হয়েছে।
খয়লা খনিতে দুর্নীতির ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান দুদকের উপপরিচালক শামসুল আলম সারাবাংলা’কে বলেন, ‘কয়লা খনির এমডিসহ চার জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আমরা ইমিগ্রেশনে চিঠি দিয়েছি।’
এদিকে, মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) দুপুরে দুদকের তদন্ত দল পেট্রোবাংলার অফিসে হানা দেয়। তদন্ত কমিটির সদস্যরা কয়লা উধাওয়ের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটি থেকে কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করেছে বলে উপ-পরিচালক শামসুল আলম।
সারাবাংলা’কে তিনি বলেন, ‘পেট্রোবাংলার কাছে আমরা কাগজপত্র চেয়েছি। হাতের কাছে যা ছিল, তা নিয়ে এসেছি। অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত পরবর্তী সময়ে তাদের সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।’
একই দিনে দুদকের তদন্ত দল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অফিসেও গিয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটির কাছেও বিভিন্ন ডক্যুমেন্ট চাওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান শামসুল আলম সারাবাংলা’কে বলেন, ‘কয়লা যে পাচ্ছে না, এতে কী কী সমস্যা হচ্ছে, বিকল্প ব্যবস্থা তারা কেন নেয়নি— এসব বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছে।’
কয়লা উধাওয়ের ঘটনায় গত ২৩ জুলাই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দুদক। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এ কমিটির তদন্ত শেষ করার কথা রয়েছে।
দুদকের উপ-পরিচালক শামসুল আলমকে প্রধান করে গঠিত কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক এস এম সাজ্জাদ হোসেন ও উপ-সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম।
এর আগে, সোমবার (২৩ জুলাই) সরেজমিনে খনি পরিদর্শন করার পর দুদক জানিয়েছিল, প্রাথমিক তদন্তে বড়পুকুরিয়া খনিতে কয়লা ঘাটতির প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর