ইলেকশন ঘনিয়ে এলে দৃশ্যপটের পরিবর্তন আসে : কাদের
২৪ জুলাই ২০১৮ ২০:২৩
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইলেকশন যতই ঘনিয়ে আসবে ততই দৃশ্যপটের মধ্যে কিছু কিছু পরিবর্তন আসবে। ইলেকশনের শিডিউল অ্যানাউন্স হয়ে গেলে এ ব্যাপারে পোলারাইজেশনটা স্বাভাবিক ব্যাপার। আমাদের এখানে পোলারাইজেশনটা কীভাবে হবে? সেটা দেখার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে?
মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইলেকশন যতই ঘনিয়ে আসবে ততই দৃশ্যপটের মধ্যে কিছু কিছু পরিবর্তন আসবে। ইলেকশনের শিডিউল অ্যানাউন্স হয়ে যাবে, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই এ ব্যাপারে পোলারাইজেশন স্বাভাবিক। আমাদের এখানে পোলারাইজেশনটা কীভাবে হবে? সেটা দেখার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে?
এর কারণ উল্লেখ করে কাদের বলেন, আমাদের এখানে সাম্প্রদায়িকতা একটা ব্যাপার আছে, এখানে ডিভাইসিক পলিটিক্স আছে, সেখানে পোলারাইজেশনটা কার সঙ্গে কার হবে? কীভাবে ঘটবে? এইসব বিষয়গুলোর সমীকরণটা একটা পর্যায়ে কোথায় দাড়াবে, সেটা এখনে বলা যাবে না।
এরশাদের ভারত সফর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটা এরশাদ সাহেবকেই জিজ্ঞেস করেন।
ভারতপ্রীতি নিয়ে বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, ভারত ভীতিটা যাদের এতো প্রবল, ইলেকশন আসলে ভারতপ্রীতি কেন বেড়ে যায়? যারা সারাবছরই ভারতভীতিতে ভোগে ইলেকশন আসলেই তাদের ভারত প্রীতি কেন? এতো ঘন ঘন যাচ্ছেন কেন?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারত কাউকে ক্ষমতায় বসাবে এটা আমরা বিশ্বাস করি না। এ জন্য আমরা তোষামোদিও করি না।
বিএনপির রাজনীতি ‘ছদ্মবেশী বিদ্বেষপ্রসূত’ দাবি করে কাদের বলেন, এই ছদ্মবেশী বিদ্বেষপ্রসূত নেতিবাচক রাজনীতির কারণে আগামী নির্বাচনে বিএনপির পরাজয় হবে এবং আগামী নির্বাচনে মাশুল দিতে হবে।
সিপিবির মোজাহিদুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করাকে ‘অফিসিয়াল আলাপ নয়’ দাবি করে বলেন, জাস্ট এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। আমি বাসদের খালেকুজ্জামানের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছি। আমি ফোনে কাদের সিদ্দিকী সাহেবের সঙ্গেও কথা বলেছি। ওনি গতকাল আমাকে কল করেছিলেন কিন্তু খেয়াল করতে পারিনি। আজকে তাকে কল করেছি, কথা বলেছি। এটা একটা সৌজন্যবোধের ব্যাপার। একটা ওয়ার্কিং রিলেশনশিপ রাজনীতিতে থাকা উচিত।
এ সময় এর আগে বিএনপির মির্জা ফখরুল সাহেবের মায়ের মৃত্যুতে বিবৃতি ও ফোন করে কথা বলার বিষয়টি তুলে কাদের বলেন, রাজনীতিতে সৌজন্যবোধটা দরকার আছে। কর্নেল অলিও আমাকে ফোন করেছেন। আ স ম আব্দুর রবও আমাকে ফোন করেছেন। মেজর মান্নানও করেছেন। এভাবে ফোনালাপটা থাকলে অনেক কিছুই সমাধান হয়ে যায়।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনীতির অংক নিয়ে আলাপ করতে যাইনি। যদি কোনো আলাপ করতে যাই তাহলে আমার পার্টির সভাপতির সঙ্গে কথা বলে যাবো এবং ওয়ার্কিং কমিটির সঙ্গে কথা বলে যাবো। রাজনীতির কোনো বিষয়ে আলোচনা করলে, কোনো ইকুয়েশন বা আন্ডারস্ট্যান্ডিং-এর ব্যাপার, অ্যালায়েন্সের ব্যাপারে আলাপ হলে, এটা দলীয় সিদ্ধান্ত ছাড়া আমি আলাপ করতে পারি না। তবে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ আলোচনা হয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপদপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুরনাহার লাইলী, কার্যনিবাহী সদস্য এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওসার, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিলসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনআর/এমআই