বিএনপি-জাপা সংলাপ চায়, আওয়ামী লীগ চায় ফোন কল
২৮ জুলাই ২০১৮ ১৮:৩৬
।। মীর মেহেদী হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এবং বড় রাজনৈতিক দল সংলাপ চায়। অন্যদিকে, সংলাপ চায় না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ফোনালাপ করতে আগ্রহী। রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে এই তথ্য জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সারাবাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপের প্রয়োজন নেই। কিন্তু রাজনীতিতে ওয়ার্কিং আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের (বোঝাপড়া) জন্য বিএনপির নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা হতে পারে। নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের সঙ্গে ফোনালাপ হতে পারে। এতে দুই দলের মনের দূরত্ব কমবে।’
বিএনপির মহাসচিবের প্রতি অভিমানের সুরে ওবায়দুল কাদের সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি সংলাপের কথা বলিনি। আমি বলেছি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব কখনও আমায় টেলিফোন করেন না।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘দেশকে একটু সুস্থ অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার জন্য, সুষ্ঠু নির্বাচনে যাওয়ার পথ বের করতে সংলাপের প্রয়োজন আছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রতি আহবান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আসুন আলোচনায় বসি, কথা বলি। কোথায় বসবেন? কী করবেন বলেন? আমরা আলোচনার জন্য সব সময় প্রস্তুত রয়েছি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ফোন করবেন কি-না—এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘হ্যাঁ, আইডিয়াটা ভালো। তবে তারা আগে ফোন দিক। তারা কল করলে, আমরা কলব্যাক করব।’
জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান জি এম কাদের সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি মনে করি, সংলাপের প্রয়োজন আছে। কারণ আওয়ামী লীগ, বিএনপি বাংলাদেশের প্রধান দুইটি রাজনৈতিক দল। তাই একাদশ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার জন্য অব্যশই সংলাপের প্রয়োজন রয়েছে। এখানে দোষের কিছু নেই।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো ধরনের সংলাপ হবে না। সংলাপের কোনো প্রশ্নই আসে না। সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচন হবে। সংলাপ কেন হবে? কিসের জন্য সংলাপ হবে। সংবিধান অনুযায়ি সংলাপ করতে আমরা বাধ্য নই।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘দেশ ও জনগণের স্বার্থে খুনি বিএনপি দলের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না। বিএনপি ২০১৩ সালে ষড়ষন্ত্র ও মানুষ পুঁড়িয়ে ক্ষমতা যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। তারা নিরীহ ২৩০ জন মানুষকে হত্যা করেছে। বিগত বিএনপি সরকারের আমলে দেশে ১২৯টি জঙ্গী সংগঠন তৈরি হয়েছে। যারা জঙ্গিদের মদদ দেয় তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না।’
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সংলাপের বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য টুইস্ট করা হয়েছে। বিএনপি চাইলে টেলিফোনে কথা বলতে পারেন। কিন্তু সংলাপ হবে না। কারণ বাংলাদেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে।’
সারাবাংলা/এমএমএইচ/জেআইএল/এমআই