Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খরচ বাড়ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণে


২৮ জুলাই ২০১৮ ১৯:৩১

পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন

।। জোসনা জামান, স্টাফ করসপনডেন্ট।।

ঢাকা: ব্যয় বাড়ছে ঢাকার বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পে। এটির মূল ব্যয় ১২০ কোটি ৯১ লাখ থেকে ৭৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা বাড়িয়ে মোট ১৯৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। সেই সঙ্গে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে পর্যন্ত করা হচ্ছে।

এরইমধ্যে প্রক্রিয়াকরণ শেষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় উপস্থাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলে বর্ধিত সময়ের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন শেষ করতে চায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর।

পার্বত্য মন্ত্রণালয় বলছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সামাজিক রীতিনীতি, ভাষা, ধর্ম, আচরণগত পার্থক্য ইত্যাদি বিষয়ে দেশের মানুষকে অবহিতকরণ এবং বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য যোগাযোগ স্থাপন করা হবে।

প্রকল্প সংশোধনের কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা, ল্যান্ডস্কেপিং এবং ওয়াটারস্কেপিং আইটেমগুলো অন্তভুক্তি, স্থাপত্য নকশা পরিবর্তন এবং একটি নতুন লিফটসহ স্টিল স্ট্রাকচার অন্তর্ভুক্তি, বিল্ডিং ও পার্কিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং বিল্ডিং অটোমেশন স্থাপন, কিছু অংশের পরিমাণ ও ব্যয়ের হ্রাস বৃদ্ধি, আউটসোসিং পদ্ধতিতে ১২ জন অনিয়মিত শ্রমিক নিয়োগের সংস্থান এবং প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল এক বছর বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়,পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ঢাকার বেইলী রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ নামের মূল প্রকল্পটি মোট খরচ ১২০ কোটি ৯১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা এবং ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্য ২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি একনেকে অনুমোদিত হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পের আওতায় ঢাকার বেইলি রোডে একটি কমপ্লেক্স এর মধ্যে প্রশাসনিক ভবন, মাল্টিপারপাস হল, প্লাজা ও অ্যাম্পিথিয়েটার, মন্ত্রীর বাস ভবন, চেয়ারম্যানের বাস ভবন এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের ডরমিটারি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

তবে বাস্তবায়ন পর্যায়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি যথাযথভাবে প্রতিফলনের জন্য কমপ্লেক্স এর ল্যান্ডস্কেপিং ও ওয়াটারস্কেপিংসহ নির্মাণাধীন ভবনগুলোর অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা স্থাপত্য নকশা পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখা দেয়। তাছাড়া বাস্তবতার নিরিখে কয়েকটি নতুন অংশ যেমন, লিফট, স্টিল স্ট্রাকচার, বিল্ডিং ম্যানেজমেন্ট ও পার্কিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং বিল্ডিং অটোমেশন স্থাপন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন। এ জন্য পার্বত্য চট্ট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় মোট ১৯৯ কোটি ৩৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে এবং ২০১৬ সালের জানুয়ারি হতে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পের প্রথম সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়।

গত ১২ এপ্রিল প্রস্তাবিত সংশোধিত ডিপিপির উপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিইসি সভায় অন্যান্যের মধ্যে প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ভবনগুলোর অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জাসহ কমপ্লেক্স এর সৌন্দর্যবর্ধন সংক্রান্ত প্রস্তাবিত সংশোধিত স্থাপত্য নকশা প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদের পর ব্যয় প্রাক্কলন করতে হবে এবং অনুমোদিত সংশোধিত নকশা আরডিপিপিতে অন্তভুক্ত করতে হবে তাই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং কিছু শর্ত সাপেক্ষে প্রস্তাবিত প্রথম সংশোধিত ডিপিপি অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে ২০১৮ সালের ১৯ জুন ভবনগুলোর অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জাসহ কমপ্লেক্সের সৌন্দর্য বর্ধন সংক্রান্ত সার্বিক ধারণাগত বিষয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিস্তারিত উপস্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে পিইসি সভার অন্যান্য সিদ্ধান্ত প্রতিফলন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আরডিপিপি পুনর্গঠন করা হয়েছে। পুনর্গঠিত আরডিপিপির মোট ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৯৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

প্রকল্পের প্রাধান কার্যক্রম হচ্ছে প্রশাসনিক ভবন এবং মাল্টিপারপাস হল নির্মাণ, প্লাজা ও অ্যাম্পিথিয়েটার, মন্ত্রীর বাসভবন, চেয়ারম্যানের বাস ভবন, ডরমিটরিস, অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা, ল্যান্ডস্কেপিং এবং ওয়াটারস্কেপিং নির্মাণ করা হবে।

এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সাবেক সদস্য জুয়েনা আজিজ পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে বলেছেন, প্রস্তাবিত সংশোধিত স্থাপত্য নকশা অন্তর্ভুক্ত করে ঢাকার বেইলী রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা হলে কমপ্লেক্সটিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অনন্য ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি যথাযথভাবে প্রতিফলিত হবে।

সারাবাংলা/জেজে/একে

আরও পড়ুন

পুরনো প্রকল্পে নির্বাচনী চাপ

উন্নয়ন প্রকল্প পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স প্রধানমন্ত্রী বেইলি রোড শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর