নতুন বছরে বিশ্বে কমবে ফেসবুক ব্যবহার
২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ২০:৪২
সারাবাংলা ডেস্ক
ফেসবুক ছাড়া একটা দিন! অনেকে কল্পনাই করতে পারেন না। গত কয়েক বছরে সামাজিক এই যোগাযোগ মাধ্যমটি এমনই শেকড় গেঁড়েছে আমাদের মনোজগতে। কিন্তু নতুন বছরে এসে নাকি বিশ্বে কমবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা গার্টনারের একটি উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই তথ্য প্রকাশ করেছে ফোর্বস ম্যাগাজিন।
গার্টনারের গবেষণা উপাত্ত অনুযায়ী, সারাবিশ্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো আস্থার সংকটে রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভুয়া খবর, মিথ্যা ও নেতিবাচক গল্প, হিংস্র ভিডিও, ঘৃণা ছড়ানো কথা ফেসবুক, টুইটার ও পিনটেরেস্টসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোকে কলুষিত করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভুয়া খবর ছড়ানোর অভিযোগে ফেসবুক ও টুইটারকে অভিযুক্ত করে জরিমানা আদায়ের ঘটনাও ঘটেছে। আর এসবই বিশ্বে তুমুল জনপ্রিয় সামাজিক এই মাধ্যমটির বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করছে।
২০২২ সাল নাগাদ এই সামাজিক মাধ্যমের প্রভাবে তৃতীয় বিশ্বে ভুল তথ্য বেশি মানুষকে আকৃষ্ট করবে। গবেষণাসংস্থাটি জানায়, এর প্রভাবেই জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর।
গার্টনার ফেসবুকের একটি উপাত্ত থেকে প্রমাণ করেছে এরই মধ্যে বিশ্বে এই মাধ্যমটির উপযোগিতা কমেছে। গত বছরে বিশ্বে ২০৩ কোটির বেশি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বেড়েছে, সামাজিক মাধ্যমটির আয় ছাড়িয়েছে ১০.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৮৬ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এত কিছুর পরও চলতি বছর ফেসবুকে গড় পোস্টের হার কমেছে। পোস্টে ব্যবহারকারীর সম্পৃক্ততা (এনগেজমেন্ট) কমেছে ১৫ শতাংশ আর কমেন্টের হার কমেছে ৩৭ শতাংশ।
গার্টনারের হিসেব অনুযায়ী, শুধু ফেসবুকেই নয় অন্য সব বাঘা বাঘা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এনগেজমেন্ট কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। আর এটিই নতুন কোনো মাধ্যমের প্রতি মানুষকে উৎসাহী করে তুলতে পারে বলে- মত বিশ্বখ্যাত এই গবেষণাসংস্থার।
পেশাজীবীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাসংস্থা ডেলোয়েত্তে তাদের এক উপাত্তে দেখিয়েছে, গত কয়েক বছরে মোবাইল ফোনে সময় দেওয়ার হার বেড়েই চলছিল। কিন্তু ইউরোপে চলতি বছর মোবাইল ফোন ব্যবহারের হার ‘আশংকাজনক’ হারে বাড়েনি। বরং আস্তে আস্তে মোবাইল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে মানুষ সতর্ক হয়েছে। বিশ্বে ‘মোবাইলবিহীন দিনের’ মতো বিভিন্ন আয়োজনে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেওয়াও বেড়েছে অনেক। যা মোবাইলকে অগ্রাধিকার দিয়ে তৈরি করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জন্য দুঃসংবাদই বটে।