আমরাও একদিন চাঁদে যাব: প্রধানমন্ত্রী
৩১ জুলাই ২০১৮ ১২:৫৭
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ সফল হওয়ায় এবার নতুন স্বপ্নের কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। এখন চাঁদের দেশে পৌছানোর সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। আজকে বিশ্বটা আমাদের হাতের মুঠোই এসেছে, আমরা একদিন চাঁদের দেশে পৌছে যাব।’
কৃত্রিম স্যাটেলাইট সফলভাবে উৎক্ষেপণ উদযাপন ও দুই গ্রাউন্ড স্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা সৃষ্টি হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বাংলাদেশের জনগণকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না।’
তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্পেস বিজ্ঞান সম্পর্কে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবে, কাজ করতে পারবে। আমরা পরমাণু বিজ্ঞান কেন্দ্র করেছি। সমুদ্র গবেষণা কেন্দ্রের মাধ্যমেও জানার সুযোগ তৈরি হবে।’
ভাষণ দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজীপুর ও রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় সজীব ওয়াজেদ জয় মহাকাশ ভূ-কেন্দ্র উদ্বোধন করেন।
সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু সংবিধানই দেননি, তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। এই ভূ-কেন্দ্র উদ্বোধন করলাম এটি কার করা? এটি জাতির পিতার করা। তিনি স্বাধীন রাষ্ট্র করার সকল উপাত্ত দিয়ে গেলেন। কিন্তু তাকে ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয়েছিল। একদিন পর সেই আগস্ট, এই আগস্ট মাস আমাদের শোকের মাস।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ছয় বছর দেশে আসতে পারনি। ছয় বছর পর ১৯৮১ সালে বৈরী পরিবেশে ফিরে আসি। দেশে এসে আমি দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। যখন দেশের একটা মানুষ উপকৃত হন তখন আমার মনে প্রশ্ন জাগে আমার বাবা কিংবা মা এটি কি দেখতে পান? দেশের জন্য কাজ করছি, এটা কি তারা বুঝতে পারেন।’
‘২১ বছর পর আমরা সরকার গঠনের সুযোগ পাই। ক্ষমতায় এসে প্রথমবার আমাদের কাজ ছিল বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা করা।’
ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের টেলিফোন ছিল এনালগ সিস্টেম। আমরা ডিজিটাল সিস্টেমে টেলিফোন স্থাপন করি। বেসরকারি খাতে মোবাইল ফোন আমরা উন্মুক্ত করে দিই। পাবর্ত্য চট্টগ্রামে মোবাইল ফোন ছিল না। এখন কিন্তু মোবাইল এসেছে। বিদ্যুৎখাত বেসরকারি খাতে দিয়ে দিই, টেলিভিশন, রেডিও, বিমান হেলিকপ্টার বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দিই যাতে ব্যবসার সম্প্রসারণ হয়, দেশের মানুষের কর্মসংস্থান হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। বিশ্বে আমরা ৫৭ তম দেশ যাদের স্যাটেলাইট আছে। আমরা পরমাণু ক্লাবে ঢুকেছি, ৩৪ তম দেশ হিসেবে স্থান করে নিয়েছি। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ ছিল আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি। আমি চাই বাংলাদেশে যে উন্নয়ন হচ্ছে, এই গতিধারা যেন অব্যাহত থাকে।’
দেশের উৎক্ষেপণ করেছি। বিশ্বে আমরা ৫৭ তম। আমরা পরমাণু ক্লাবে ঢুকেছি, ৩৪ তম দেশ হিসেবে স্থান করে নিয়েছি। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ ছিল, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মর্যাদা অর্জন করেছি। আমি চাই বাংলাদেশ যে উন্নয়ন হচ্ছে, এই গতিধারা যেন অব্যাহত থাকে।
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, তথ্য ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানে দুই ভূ কেন্দ্র বিষয়ে ভিডিও ডকুমেন্টরি দেখানো হয়। এছাড়া প্রদর্শন করা হয় লেজার শো। প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে স্মারক ডাকটিকেটও উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সজীব ওয়াজেদ জয় গ্রাউন্ড স্টেশনের উদ্বোধন করেন। ভিডিও কনফারেন্সে তিনি গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও রাঙামাটির জেলাপ্রশাসক এবং স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই আওয়ামী লীগের সকল নেতৃবৃন্দকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারীদের নাম-পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল।’
‘এখন বঙ্গবন্ধু নাম মহাকাশে পাঠিয়েছি। কোনো সরকারই এখন এই নাম মুছে ফেলতে পারবে না।’
সারাবাংলা/একে
আরও পড়ুন
বঙ্গবন্ধুর নাম মহাকাশে, কেউ মুছে ফেলতে পারবে না
জয়ের নামে স্যাটেলাইটের দুই গ্রাউন্ড স্টেশন
জয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু-১ ভূ-উপকেন্দ্র শেখ হাসিনা স্যাটেলাইট