বিদেশে নির্যাতনের শিকার নারী কর্মীদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট
৩১ জুলাই ২০১৮ ১৬:৪৬
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কতজন নারী কর্মী গেছেন, কতজন শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তার তালিকা করে একমাসের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এসব নারী কর্মীরা দেশের বাইরে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পর তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদ হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী এক মাসের মধ্যে প্রবাসীকল্যাণ সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো মহাপরিচালক, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বায়রার সভাপতি ও সেক্রেটারিকে তালিকা করে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশের নারীরা শারীরিক যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরে আসছে। এসব নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন ‘জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুট অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।
পরে আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন জানান, সৌদি থেকে যে সকল নারী কর্মীরা ফেরত এসেছে তারা সকলেই কম বেশি শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন তাদের উপর করা হয়েছে। এ কারনে আমরা জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করি। আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি করে রুল জারি করেছেন।
রুলে বিদেশে যাওয়া নারীদের নিরাপত্তা, এবং ক্ষতিগ্রস্থ নারীদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং বিবাদীদের নিষ্ক্রীয়তাকে কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব,আইন সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব, জনশক্তি ও প্রশিক্ষন ব্যুরোর মহাপরিচালক, বায়রার সভাপতি ও সম্পাদকসহ ১১ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া আইন বহির্ভুতভাবে যদি কোন রিক্রুটিং এজেন্সি নারী কর্মী পাঠিয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না সেটিও জানতে চেয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে পুরুষ-মহিলাসহ কত কর্মী বিদেশে গিয়েছে, কতজন ফেরত এসেছে এবং কতজন নির্যাতনের শিকার হয়েছে তারও একটি তালিকা চেয়েছেন আদালত।’
সারাবাংলা/এজেডকে/এএস/জেডএফ