এক দশকে মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস পেয়েছে ৪০ শতাংশ
২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৮:৪৫
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
বাংলাদেশে গত এক দশকে মাতৃমৃত্যু হার ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। আর এই হার হ্রাসে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির অবদান প্রায় ২৫ ভাগ।
এদিকে শিশুমৃত্যুর হার হ্রাসে বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। তাই মাতৃস্বাস্থ্য সেবা, শিশুস্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবাকে অধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব সেবা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম বৃদ্ধির উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বুধবার তিনি এসব কথা বলেন। এবারের পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘পরিকল্পিত পরিবার গড়ি, মাতৃমৃত্যু রোধ করি’।
জনগণকে তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবাপ্রদান এবং সেবাগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা এবং সেবাপ্রদানে প্রতিটি কর্মীকে আরও বেশি উৎসাহিত হওয়ার জন্য পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর প্রতি বছর সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উদ্যাপন করে থাকে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০২২ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যু হার ১০৫-এ (প্রতি লাখ জীবিত জন্মে) কমিয়ে আনার লক্ষ্যে চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। এ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার ৭০-এ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছে।’
প্রতিমন্তী ডা. জাহিদ মালেক সংবাদ সম্মেলনে পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশুস্বাস্থ্য, কিশোর-কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য, পুষ্টিসেবা, প্রজনন স্বাস্থ্য, নিরাপদ মাতৃত্ব— এ সকল কার্যক্রমে সরকারের অবদানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দক্ষ সেবাদানকারীর সহায়তায় প্রায় ৫০ শতাংশ প্রসব সম্পাদিত হচ্ছে। অথচ ২০১০ সালে এ হার ছিল মাত্র ২৭শতাংশ।’
বর্তমানে ১১২টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র থেকে জরুরি প্রসূতি সেবা, ৩ হাজার একশত একত্রিশটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রকে মান-উন্নীত করে স্বাভাবিক প্রসব সেবা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ ছাড়াও ২০৩টি কিশোর-কিশোরী কর্নার স্থাপনের মাধ্যমে বয়ঃসন্ধীকালীন স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবা, বাল্য-বিয়ের কুফল ও কিশোরী গর্ভধারণের কুফল বিষয়ে কাউন্সিলিং করা হচ্ছে।’
সারাবাংলা/জেএ/আইজেকে