Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ছাত্রদের আন্দোলন ’৬৯-এর সীমা অতিক্রম করেছে’


৩ আগস্ট ২০১৮ ২০:২৪

।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট ।।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সীমা অতিক্রম করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।

তিনি বলেন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাশাসক আইয়ুব খানের কাছ থেকে আামরা দেশকে মুক্ত করেছিলাম। সেই সময়েও স্কুল-কলেজ থেকে এসে ছেলে-মেয়েরা বটতলায় একত্রিত হতো। ’৬৯-এও যা আমি দেখিনি, এবার সেই সীমা অতিক্রম করেছে। ছাত্র সমাজের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এরই মধ্যে শ্রেষ্ঠ এক ইতিহাস রচিত হয়েছে।

শুক্রবার (৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানী শাহবাগে নিরাপদ সড়কের দাবিতে এক সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা মহানগর সংসদ এই সংহতি সমাবেশে আয়োজন করে।

সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর সংসদের আহ্বায়ক দীপক শীলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জওহর লাল রায়ের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন মিশুক মুনীরের ভাই সাংবাদিক আসিফ মুনীর, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেহনুমা আহমেদ, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাকী বিল্লাহ, উদীচীর সহসম্পাদক অমিত দেসহ অন্যরা।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়ার জন্য আন্দোলনে নামেনি। ছাত্রদের আন্দোলনের মর্মকথা হচ্ছে, যা চলছে সেটা আমরা চলতে দিতে রাজি নই। এটাকে পরিবর্তন করতে হবে। পরিবর্তনের আওয়াজে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তারা বলেছে পরিবর্তন প্রয়োজন, পরিবর্তন সম্ভব। কিভাবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, দাঁড়িয়ে হাতে-কলমে তারা দেখিয়ে দিয়েছে।’ দেশবাসীকে তিনি শিক্ষার্থীদের স্লোগানের মর্মকথা বুঝে নেওয়ার আহ্বান জানান।

ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক এই ভিপি আরও বলেন, অগণিত মানুষ চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ দিচ্ছে। কিন্তু কোনো বিচার নেই, নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকার আছে ঠিকই, কিন্তু তাদের কোনো মাথাব্যাথা নেই। তাদের মাথাব্যাথা কিভাবে ক্ষমতায় থাকতে হবে এবং লুটপাট করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবিকে ন্যায্য দাবি উল্লেখ করে সেগুলো মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান সেলিম।

মিশুক মুনীরের ভাই সাংবাদিক আসিফ মুনীর বলেন, ২০১১ সালে আমরাও শাহজাহান খানের পতদ্যাগ দাবি করেছিলাম। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। আজ আবার ছাত্রসমাজ সেই দাবি তুলেছে।

তিনি বলেন, আমরা ওদের নির্দেশনা দেবো, কিন্তু তাদের চিন্তা-ভাবনার স্বতঃস্ফূর্ততাকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করব না।

সারাবাংলা/কেকে/টিআর


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর