চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ, ছাত্রলীগের বাধা দেওয়ার অভিযোগ
৩ আগস্ট ২০১৮ ২১:০২
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: সড়কে নিরাপত্তার দাবিতে চট্টগ্রাম নগরীতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিল-সমাবেশে ছাত্রলীগের বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৩ আগস্ট) বিকেলে নগরীর চকবাজার এলাকায় হঠাৎ মিছিল নিয়ে এসে গাড়ির কাগজপত্র ও চালকের লাইসেন্স তল্লাশি শুরু করে একদল কিশোর। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয় ছাত্রলীগের একটি মিছিলও তখন চকবাজার এলাকায় আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কিশোরদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেন। এর আগে পুলিশ কিশোরদের সরে যাবার জন্য অনুরোধ করে।
চকবাজার থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম সারাবাংলাকে বলেন, আজ শুক্রবার। স্কুল বন্ধের দিন। তারপরও ইউনিফর্ম পড়া কয়েকজন ছেলে এসে গাড়ির কাগজপত্র তল্লাশি শুরু করে। ছাত্রলীগও ওই এলাকায় তাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি পালন করছিল। আমরা ছাত্রদের বুঝিয়ে সরিয়ে দিয়েছি। ছাত্রলীগের সঙ্গে মুখোমুখি হলেও কোন ধাওয়া, সংঘাত হয়নি বলে জানিয়েছেন ওসি।
এদিকে বিকেলে নগরীর জামালখানে প্রেসক্লাব মোড়ে জড়ো হন অর্ধশতাধিক বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। তাদের সঙ্গে সংহতি জানান ছাত্র ফেডারেশনসহ প্রগতিশীল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শিক্ষার্থীদের প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও ওই এলাকায় যান। উভয়পক্ষ প্রায় মুখোমুখি অবস্থানে চলে যায়।
শিক্ষার্থীরা রাস্তার উপর বসে পড়লে রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ গিয়ে তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন। এরপর শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারের দিকে চলে যান। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও মিছিল তাদের পেছনে পেছনে যান।
ছাত্র ফেডারেশনের কর্মী ফরহাদ জামান জনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একেবারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসেছিলেন। আমরা প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। সেখানে আকস্মিকভাবে ছাত্রলীগের কয়েকজন হাজির হন। তবে আমাদের সঙ্গে কোনো সমস্যা হয়নি।’
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আব্দুর রউফ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) কোন পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল না। অথচ কিছু ছাত্রছাত্রী এসে রাস্তায় বসে গিয়েছিল। এদের কারণে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আমরা বুঝিয়ে তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছি।’
সারাবাংলা/আরডি/এমও