Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ‘কবজায়’ নেওয়ার চেষ্টায় জামায়াত: ডিবি


৩ আগস্ট ২০১৮ ২৩:৪৮

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: নিরাপদ সড়কের দাবিতে চট্টগ্রাম নগরীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিজেদের কবজায় নিতে কৌশল নির্ধারণে বৈঠকে বসেছিলেন জামায়াতের আট নেতা। শুক্রবার (৩ আগস্ট) দুপুরে নগরীর খুলশী থানার মুরগির ফার্ম এলাকা থেকে আট জামায়াত নেতাকে গ্রেফতারের পর এ তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) দাবি অনুযায়ী, ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, শনিবার (৪ আগস্ট) পুরো নগরীজুড়ে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের ব্যাপক সমাবেশ ঘটানো হবে। সাদা ইউনিফর্ম পড়ে শিক্ষার্থীদের জমায়েতে কর্মীদের ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে এই আন্দোলন চট্টগ্রামসহ আশপাশের জেলায়, সড়ক-মহাসড়কে ছড়িয়ে দেওয়ার টার্গেট ছিল জামায়াতের নেতাদের।

কিন্তু চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ধরা পড়ার পর জামায়াতের এই কৌশল ও পরিকল্পনার কথা জানাজানি হয়ে গেছে।

জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. কামরুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে বড় ধরনের পরিকল্পনা করেছিল জামায়াত। ইউনিফর্ম পরিয়ে কর্মীদের শিক্ষার্থীদের সমাবেশে জড়ো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এছাড়া আন্দোলনকারীদের যত ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার, সব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।’

‘এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জামায়াত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছিল, এটা জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পেরেছি। সংসদ নির্বাচনের আগে এই আন্দোলনটাকে যে কোনভাবে কবজায় নেওয়ার জন্য তারা মরিয়ে হয়ে পড়েছিলেন।’ বলেন কামরুজ্জামান।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতার হওয়া আটজনের মধ্যে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী রয়েছেন। তিনি নগর জামায়াতের নায়েবে আমির পদে ছিলেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদে নিজেকে আইন বিষয়ক সম্পাদক পরিচয় দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা কামরুজ্জামান। তার বিরুদ্ধে ১৯টি মামলার তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

বাকি সাতজনের মধ্যে দুজন নগর জামায়াতের রুকন। এরা হলেন-এইচ এম সাইফুদ্দিন ও আবু তাহের ভূঁইয়া। আরও পাঁচজন হলেন- আবুল বাসার, মঞ্জুর আলম, মাহাবুব আলম মিঠু, মিনহাজুল আরেফিন আফতাহী এবং মো.রাসেল।

তাদের গোপন বৈঠক থেকেই গ্রেফতার করা হয় এবং অভিযানের খবর পেয়ে আরও কয়েকজন পালিয়ে যান বলে জানিয়েছেন কামরুজ্জামান।

সারাবাংলা/আরডি/এমও

জামায়াতে ইসলামী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর