জাবিতে রাস্তার বেহাল দশা, চলাচলে দুর্ভোগ
৪ আগস্ট ২০১৮ ০৮:২২
।। তহিদুল ইসলাম, জাবি করেসপন্ডেন্ট ।।
জাবি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়ক দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে জিমনেসিয়ামের সামনে ও আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের সামনের রাস্তার অবস্থা বেশি খারাপ। এতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ব্যবহারকারীদের, চলতি পথে ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের সামনের সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। বর্ষার মৌসুম হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে পানি জমে যায়। আবার ব্যস্ততম এই সড়কে পর্যাপ্ত সড়ক বাতি না থাকায় রাতের বেলা রিকশাচারী, সাইকেল আরোহী কিংবা সাধারণ পথচারী সবারই চলতে কষ্ট হয়। অনেক সময় ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটে। সম্প্রতি সড়কটির নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনের অংশে ইটের ভাঙা টুকরো দিয়ে গর্ত পূরণের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তাতে পথচারীদের দুর্ভোগ কমেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামে যাওয়ার একমাত্র সড়টিতে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা বিরাজ করছে। ইটের তৈরি এই সড়কটির বিভিন্ন অংশ ডেবে গেছে, কিছু অংশে ইটও ক্ষয়ে গেছে। ফলে সড়কটি ব্যবহারকারী শিক্ষার্থী ও শারীরিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলাচলে দুর্ভোগ নিত্যসঙ্গী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র সংলগ্ন সড়ক ও বিশমাইল গেটে যাওয়ার সড়কটির বিভিন্ন অংশে খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া মেডিক্যাল সেন্টারের সামনে ইটের তৈরি ছোট সড়কটির প্রায় পুরো অংশে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এতে বৃষ্টির দিনে মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বিভিন্ন সড়কে বেহাল দশা বিরাজ করলে সড়ক মেরামতে প্রশাসনের উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও চলে সমালোচনা। মোবারক নামের এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বৃষ্টি হলে আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের সামনে থেকে মুরাদ চত্বর পর্যন্ত সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা দুরূহ হয়ে পড়ে।’
শারীরিক শিক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, ‘জিমনেসিয়ামে আসার একমাত্র সড়টি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমরা বারবার প্রশাসনকে এ বিষয়ে জানিয়েছি। তবে এদিকে প্রশাসনের নজর নেই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী আবদুস সালাম মো. শরীফ বলেন, ‘আমরা গতবার প্রধান সড়কের যেসব অংশ পুনর্নির্মাণ করেছি সেটার বাকি অংশ এবার নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। টাকা পেলে নির্মাণ করা হবে। আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলের সামনে থেকে নতুন রেজিস্ট্রার ভবন পর্যন্ত সড়কটির বিষয়ে আমি রেজিস্ট্রার মহোদয়কে জানিয়েছি। তিনি ভিসি স্যারের সাথে কথা বলেছেন। দেখা যাক কি হয়।’
তবে এসব বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সারাবাংলা/এমও