Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কান নিয়েছে নওশাবা!

সন্দীপন বসু
৪ আগস্ট ২০১৮ ১৯:৪৭

।। সন্দীপন বসু ।।

ঢাকা: নিরাপদ সড়কের দাবিতে সড়কে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে নানা গুজব আর ভুল তথ্যে সয়লাব সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক। আজ শনিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে আন্দোলন চলাকালীন ‘ঢাকা অ্যাটাক’ চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ ফেসবুক লাইভে আসেন। লাইভে তিনি হাঁপাতে হাঁপাতে কান্নামুখর হয়ে বলতে থাকেন জিগাতলায় একজনের চোখ তুলে ফেলা ও চার জনকে মেরে ফেলার ঘটনা। দেখে মনে হয়, যেন নিজের বাসার নিচে এই অভিনেত্রী মাত্রই দেখে এসেছেন এই চোখ তুলে নেওয়ার ঘটনা!

বিজ্ঞাপন

ঘটনার পরপরই তুমুল আলোচিত হয় পরিচিত এই অভিনেত্রীর ভিডিওটি। বিকেল সাড়ে ৫টায় ভিডিওটিতে সাত হাজারের বেশি লাইক ও তিন হাজার সাতশ শেয়ার ছিল। যদিও খোঁজ নিয়ে নওশাবার বর্ণিত এই ঘটনার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

এদিকে, ঘটনার পর সারাবাংলা থেকে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনার সময় আমি ধানমন্ডি ছিলাম না, ছিলাম উত্তরায়। এক বন্ধুর কাছ থেকে ঘটনাটি শুনেই লাইভ দিয়েছি।

সারাবাংলা’কে নওশাবা বলেন, ‘শুরু থেকেই কয়েকদিন আমি আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছিলাম। কয়েকজন ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল। তাদেরই একজন আমাকে ফোন দিয়ে এই খবরটি জানায়। আমাকে ফোন দিয়ে জানানোর পর আমি ঘটনাটি সবাইকে জানিয়েছি। আমি এর বেশি আর কিছু বলতে পারব না।’

এ সময় সারাবাংলা থেকে তাকে প্রশ্ন করা হয়, আপনার বরাত দিয়ে চোখ উঠিয়ে নেওয়া ও মারা যাওয়ার খবরটি দেওয়া যাবে কি না। জবাবে তিনি বলেন, ’না। আমি যেমনটা অন্যের কাছ থেকে জেনেছি, তেমনটাই দিয়েছি।’

অথচ ফেসবুক লাইভে নওশাবা বলেন, ‘জিগাতলায় আমাদের ছোট ভাইদের একজনের চোখ তুলে ফেলা ও চার জনকে মেরে ফেলা হয়েছে। একটু আগে ওদেরকে অ্যাটাক করা হয়েছে। ছাত্রলীগের ছেলেরা সেটা করেছে। প্লিজ-প্লিজ ওদেরকে বাঁচান। তারা জিগাতলায় আছে। আপনারা এখনই রাস্তায় নামবেন ও আপনাদের বাচ্চাদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাবেন, এটা আমার রিকোয়েস্ট। বাচ্চাগুলো নিরাপত্তাহীনতায় আছে। যে পুলিশরা আছেন, আপনারা অবশ্যই নিজেদের বাচ্চাদের প্রোটেকশন দেন। আপনারা প্লিজ কিছু একটা করেন। আপনারা সবাই একসাথে হোন। আমি এ দেশের মানুষ, এ দেশের নাগরিক হিসেবে আপনাদের কাছে রিকোয়েস্ট করছি।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে, ভুল তথ্য ছড়ানোর কারণে নওশাবার লাইভ নিয়ে ফেসবুকে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

সন্দীপন বসু

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর