আমীর খসরুর সঙ্গে ফোনে কথা বলা সেই ব্যক্তিকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ
৫ আগস্ট ২০১৮ ১৪:৪১
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
কুমিল্লা : নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান ছাত্র আন্দোলনের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে ভাইরাল হওয়া টেলিফোনে কথোপকথনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমি। তাকে কুমিল্লার বরুড়া থেকে উঠিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
রোববার (৫ আগস্ট) ভোরে বরুড়া উপজেলার দেওরা গ্রামের নাওমির ফুফুর বাড়ি থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যদের দাবি। তবে কুমিল্লার পুলিশ এ বিষয়ে কিছু জানে না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছে।
কুমিল্লা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা ডিআইওয়ান মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, মিলহানুর রহমান নাওমিকে তুলে নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানেন না তারা।
নাওমির বাবা কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর সিদ্দিকুর রহমান সুরুজ বলেন, ‘আজ ভোরে ঢাকা থেকে আসা ডিবি পুলিশ নাওমির মামা মঞ্জুর আলম ও চাচা ফরিদুর রহমানকে নিজ বাড়ি নগরীর উনাইসার থেকে নাওমির খোঁজে বরুড়ায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে নাওমিকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে যায়।’
নাওমির বাবা তার ছেলেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং তিনি দেশের কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন বলেও দাবি করেন। তিনি জানান, নাওমী ছোট বেলায় পড়াশুনার জন্য বিদেশে চলে যায় এবং লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি পড়া শেষ করে গত ৬ মাস আগে দেশে ফেরেন। বিএনপি নেতার আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে তার চাচাতো বোনের বিয়ের দাওয়াত দেয়ার জন্য টেলিফোন করেছিলেন নাওমী। বাড়তি কথাগুলো সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন বলেও উল্লেখ করেন নাওমীর বাবা।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এরপরেও যদি তার ছেলে কোনো অপরাধ করে থাকে তাহলে যেন দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিচার করা হয়। কোনো অবিচার যেন করা না হয় সেই আবেদন জানান তিনি।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সপ্তম দিনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। অডিও ক্লিপে শোনা যায়, কুমিল্লায় অবস্থানরত নাওমী নামে এক কর্মীর সঙ্গে কথা বলছেন বিএনপির এই নীতিনির্ধারক। তিনি ওই কর্মীকে বলছেন ঢাকায় এসে লোকজন নিয়ে নেমে পড়তে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার (৪ আগস্ট) রাতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাত ও ষড়যন্ত্রের চেষ্টার অভিযোগ তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫/৩ ধারায় মামলা করা হয়।
আরো পড়ুন : আমীর খসরুর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে ৫৭ ধারায় মামলা
সারাবাংলা/এসএমএন