বিশ্ব গণমাধ্যমে বাংলাদেশের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন
৫ আগস্ট ২০১৮ ১৭:০৪
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে দেশজুড়ে চলমান শিক্ষার্থী আন্দোলন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সব সংবাদমাধ্যম ফলাও করে প্রচার করছে। শনিবার(৪ আগস্ট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একবার বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমগুলোর শিরোনাম হয় বাংলাদেশ। বিদেশী গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে #wewantjustice হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে ও দ্রুত আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়।
যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় পত্রিকা ডেইলি মেইল শিক্ষার্থী ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ডজন খানেক আহত হয়েছে জানিয়ে খবর প্রকাশ করে। তাদের রিপোর্টটি ১ হাজার ৭শ বার শেয়ার করা হয়েছে। সংবাদে আওয়ামী লীগের বরাতে বলা হয় ছাত্রদের আন্দোলনে স্কুলছাত্রের ড্রেসে দুষ্কৃতিকারীরা প্রবেশ করেছে। এছাড়া, নিরাপত্তার অভাবে পরিবহন মালিকরা বন্ধ রেখেছেন সকল গণপরিবহন। বিস্তারিত প্রতিবেদনে ছাত্রদের দাবি দাওয়া তুলে ধরাসহ রক্তাক্ত অবস্থায় এক ছাত্রকে উদ্ধারের ভিডিও জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
সিএনএন এর রিপোর্টে বলা হয়, এক সপ্তাহ ধরে চলমান আন্দোলনে ঢাকা কার্যত স্থবির। সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্রদের ক্লাসরুমে ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া ও পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা আনতে কাজ করা হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের পত্রিকা ডন এর খবরে বলা হয়, ঢাকার জিগাতলায় পুলিশ ও ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষে ১১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। পুলিশ, শিক্ষার্থীদের ওপর রবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস ছুড়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এধরনের অভিযোগ প্রত্যাখান করা হয়। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি পূরণ হওয়া ছাড়া রাস্তা ছাড়বেনা বলেও জানানো হয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীরা অভূতপূর্ব আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। সড়কে তারা পুলিশের চেয়ে দায়িত্বশীল আচরণ করছে। তারা রাস্তায় সবার লাইসেন্স চেক করছে এমনকি ভিআইপিদেরও ছেড়ে কথা বলছে না। প্রতিবেদনটিতে ঢাকার রাস্তায় সুশৃঙ্খল যানবাহনের বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করা হয়। সুযোগসন্ধানীরা শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে ঢুকে পড়তে পারে বলেও প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জিগাতলায় শনিবারের সংঘর্ষে ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন। নিশ্চিতভাবে হামলাকারীদের পরিচয় জানা না গেলেও এরা ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের সদস্য হতে পারে বলে রিপোর্টটিতে বলা হয়। একজন চিকিৎসকের পরিচয় জানিয়ে বলা হয় একশ’র বেশি শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
টেলিগ্রাফ জানায়, বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থা অনিয়ন্ত্রিত ও বিপদজনক। সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শিক্ষার্থীরা বলছে, শনিবার তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না বলে ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিবেদনে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলীয় নাগরিকদের নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/এনএইচ
আরও পড়ুন,
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে