মাঠে এখন সাবেক শিক্ষার্থীরা; শিক্ষামন্ত্রীকে শিক্ষক প্রধানগণ
৫ আগস্ট ২০১৮ ২২:০৩
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: চলমান শিক্ষার্থী আন্দোলনে প্রথম দিকে শিক্ষকদের সমর্থন থাকলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর বর্তমান শিক্ষার্থীরা নেই বলে দাবি করে শিক্ষক প্রধানগণ বলেছেন, গত বৃহস্পতিবারের (২ আগস্ট) পর বর্তমান কোনো শিক্ষার্থী রাজপথে ছিল না। যারা ছিল তাদের বেশির ভাগই সাবেক শিক্ষার্থী। তাই তাদের ফেরানো সম্ভব হয়নি।
রোববার (৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর সেগুন বাগিচা মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ঢাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর মতবিনিময়কালে বেশিরভাগ শিক্ষক এসব দাবি করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডাকে সরকারি বেসরকারি মোট ৬০৮টি স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষকগণ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। তাদের ৩০-৪০ জনের প্রস্তাব শোনেন মন্ত্রী।
প্রস্তাবনা পেশ করেন আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ খান মো. জাহিদ, স্মার্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. মারুফা খান, মকবুল হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন, তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ আঞ্জমান আরা, ইমরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ কবির মাহমুদ, মিরপুর কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম ওয়াদুদ, সিটি কলেজের অধ্যক্ষ শাহজাহান খান, ঢাকা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম ও লালমাটিয়া কলেজের অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান।
তারা বলেন, আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই তারা সোচ্চার ছিলেন। ফলে তাদের শিক্ষার্থীরা রাজপথে বেশি যেতে পারেনি। প্রথম দুএক দিন কয়েকজন গেলেও পরে তারা আর যায়নি বলে জানান প্রধান শিক্ষকগণ।
এর বাইরে শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজের প্রিন্সিপাল আব্দুল আউয়াল বলেন, পরিবহন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সমাধান হওয়া জরুরি। তারা যাতে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নেয়। নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল আমিন বলেন, ডেফোডিলের ১৭ হাজার শিক্ষার্থী প্রত্যেকটি সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে নাশকতা সৃষ্টির পায়তারা করে। কারণ ডেফোডিলের মালিক বিএনপি নেত্রী খালেদার উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন। এসব বন্ধ করতে হবে। নইলে আন্দোলন কখনো থামবে না।
মোহাম্মদপুর কিশোলয় কলেজের অধ্যক্ষ হামিদুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের এসএমএস পাঠিয়ে মোটিভেশন দিতে হবে। তিনি বলেন, প্রয়োজনে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগ করা যেতে পারে। যাতে শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করা যায়।
এ ছাড়া অনেক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, যেসকল শিক্ষক আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উষ্কে দিয়েছেন তাদের শনাক্ত করা প্রয়োজন। সরিষায় ভূত ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার।
কোনো শিক্ষক বলেছেন, অবিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে আগামীকাল থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমাবেশ করবেন। শিক্ষার্থীদের গুজবে কান না দেওয়ার কথা বলবেন। তোমাদের বিজয় হয়েছে তা বোঝানোর চেষ্টা করবেন।
রাজউক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে গেছে। এরপরেও পাবলিক বাস নেই কেন? জানতে চান তিনি। অচিরেই পাবলিক বাস ছাড়ার জন্য মন্ত্রীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
সারাবাংলা/ইউজে/এমআই