Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লিস্ট দেন; সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের বিচার করবো: কাদের


৬ আগস্ট ২০১৮ ১৬:০৬

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: আপনারা আমাকে তথ্য-প্রমাণ দেন, আমি সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিচার করবো, বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৬ আগস্ট) বিকেলে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ওপর হামলায় ছাত্রলীগের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা আমাকে তথ্য-প্রমাণ দেন, আমি বিচার করবো। সাংবাদিকদের ওপর হামলায় ছাত্রলীগের কেউ যদি জড়িত থাকে তাকে… আমি বলছি ছাত্রলীগের কারা জড়িত আমি তার বিচার করবো। আপনি (সাংবদিক) তাদের লিস্ট দেন।’

বিএনপি জামায়াতের দিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা অরাজনৈতিক নিরীহ আন্দোলন এখন তারা নিজেদের স্বার্থে এটার সঙ্গে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে এই আন্দোলনকে সরকার হঠানোর আন্দোলনে রুপ দিতে চাচ্ছে।

কাদের বলেন, এটাতে এখন অনেক কিছুর অনুপ্রবেশ হয়ে গেছে। এটা পরিষ্কার, মির্জা ফখরুল সাহেব আমির খসরু মাহমুদের ফোনালাপের উসকানিমূলক বক্তব্যকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে তখন এটা দিবালোকের মতে পরিষ্কার হয়ে গেছে। একটা অরাজনৈতিক নিরীহ আন্দোলন এখন তারা নিজেদের স্বার্থে এটার সঙ্গে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে এই আন্দোলনকে নোংরা রাজনীতিক উদ্দেশ্যে তথা সরকার হঠানোর আন্দোলনে রুপ দিতে চাচ্ছে।

গতকাল রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে হামলার ঘটনায় ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের এক নেতার ছবি সম্বলিত একটি পত্রিকায় কাটিং দেখিয়ে ওবায়দুল কাদের, আমির খসরু মাহমুদের প্রকাশ্য যে আহ্বান, এই আহ্বানটি তারা সিক্রেটলি সারাদেশে পৌঁছে দিয়েছিল। যার ফলে বিএনপি এবং জামায়াতের তরুণ ক্যাডাররা গত কয়েকদিন ধরে ঢাকায় আসে। যেই মুহুর্ত্যে তারা দেখল শিক্ষার্থীদের আন্দোলন জমছে না, তারা ঘরে ফিরে যাচ্ছিল, সেই মুহুর্তে এই দুই দলের তরুণ ক্যাডাররা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেই শাহবাগ মোড় থেকে সায়েন্সল্যাব মোড় হয়ে আওয়ামী লীগ অফিসের দিকে আসে।

বিজ্ঞাপন

তাদের টার্গেট হচ্ছে আওয়ামী লীগ অফিস দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি বিশ্বাস করি সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা, কিশোর কিশোরীরা কেউ অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় আসেনি। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য নাই। এদের আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা করার কোনো এজেন্ডা নাই। এই এজেন্ডা তাদের যারা, তাদের আন্দোলনের উপর ভর করে এখানে রাজনীতির ডার্টি খেলায় মেতে উঠেছে।

আমির খসরু মাহমুদের বক্তব্যকে মির্জা ফখরুল ইসলামের সমর্থন করার বিষয়ে তিনি বলেন, ওনি সমর্থন করার মধ্য দিয়ে প্রমাণ করে এটা সুগভীর ষড়যন্ত্র।

বেপরোয়া যান চালনায় মানুষ হত্যা হলে সর্বোচ্চ ৫ বছর জেলের বিধান এবং হত্যার উদ্দেশ্যে যানবাহন চালানোর ফলে হত্যা হলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, বেপরোয়া যান চালনায় মানুষ হত্যা হলে ১৯৮৩ সালের আইনে তিন বছর জেল-এর বিধান ছিল, সেটাই স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে ৫ বছর জেলের বিধান করা হয়েছে। এ আইনে জামিনের কোনো সুযোগ নেই।

কাদের বলেন হত্যার উদ্দেশ্যে যানবাহন চালালে এবং তা প্রমাণ হলে তা ৩০২ ধারায় চলে যাবে এবং তাতে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। প্রসঙ্গত ১৯৮৩ সালের সড়ক নিরাপত্তা আইনে বেপরোয়া যান চালনায় হত্যা হলে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেলের বিধান ছিল।

রমিজ উদ্দিন কলেজের ছাত্র দুর্ঘটনায় দুইজন মারা যাওয়ার বিষয়ে কাদের বলেন গাড়ির মালিক, ড্রাইভার, হেলপার গ্রেফতার হয়েছে, রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এবং যদি প্রমাণিত হয় তারা হত্যার উদ্দেশ্যে গাড়ি চালিয়েছে তাহলে ৩০২ ধারায় বিচার করার সুযোগ আছে বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

মহাসড়কে ছোট যানবাহনের কারণে বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটে, এ বিষয়টি আইনে আছে কি না এক সাংবাদিক জানতে চাইলে কাদের বলেন সবকিছু আইনে আসে না। কিছু বিধি-বিধান আছে। সেগুলো সবাইকে মেনে চলেতে হয়। বিধি বিধান আইনে যুক্ত করতে গেলে অনেক বড় হয়ে যাবে।

বিআরটিএ শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের ছয়দিন খোলা থাকবে জানিয়ে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সারা দেশে বিআরটিএ এর সকল অফিস খোলা থাকবে। লাইসেন্স করা, লাইসেন্স নবায়ন, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ সকল কার্যক্রম এসময় চলবে।

সংবাদ সন্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, দীপু মনি, , সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এ কে এম এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, ত্রাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন, ইকবাল হোসেন অপু, আনোয়ার হোসেন, মারুফা আক্তার পপিসহ অনেকে।

সারাবাংলা/এনআর/এমআই

ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের ওপর হামলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর