Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকার ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে কলকাতায় বিক্ষোভ, হাইকমিশন ঘেরাও


৬ আগস্ট ২০১৮ ১৭:২৬

।। শুভজিৎ পুততুণ্ড।।

কলকাতা থেকে : ঢাকায় বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় চলমান আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে কলকাতার শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৬ আগস্ট) যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও সর্বভারতীয় ছাত্র সংগঠন ডিএসও মাঠে নামে। সমর্থন জানানো শিক্ষার্থীরা ডেপুটি হাইকমিশন ঘেরাও করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়েছে।

কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইভেন্ট খুলে সমাবেশের ডাক দেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ইভেন্টের স্লোগান দেওয়া হয়েছে, ‘চলুক গুলি, টিয়ার গ্যাস, পাশে আছি বাংলাদেশ।’

কলকাতার পার্ক সার্কাসে সেভেন পয়েন্টে সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন পর্যন্ত যায়। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সৈকত শীট বলেন, ‘বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সড়কের খারাপ অবস্থা শোধরানোর জন্য রাস্তায় নেমেছে। এটি আমাদের আশা জাগিয়েছে। আমাদের মনে হয়েছে, এই আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্ররা নতুন সমাজের কথা বলছে। কিন্তু সরকারের ছাত্র সংগঠন এই আন্দোলন দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। আন্দোলন সুষ্ঠুভাবে চলতে না দিয়ে দমনপীড়ন একেবারের ঠিক নয়।’

এছাড়া কলকাতার মৌলালি থেকে এক পদযাত্রা বের করে বামপন্থী সংগঠন এসইউসিআই’এর ছাত্র সংগঠন অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্টস অহর্গানাইজেশন (এআইডিএসও)। মিছিলটি সিআইটি রোড, পাক সার্কাস হয়ে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের কাছে আছে। সেখানে পুরিশ তাদের পথ আটকালে সেখানে বিক্ষোভ দেখায় বিক্ষোভকারীরা।

বিজ্ঞাপন

এআইডিএসও এর রাজ্য সম্পদক সৌরভ বসু বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা লাগাতার আন্দোলন করছে। এটি আমাদের কাছে অনুপ্রেরণা। সেই কারণে এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এবং আন্দোলনকারীদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা এই সংহতি মিছিলের আয়োজন করেছি।’

গত ২৯ জুলাই (রোববার) ঢাকার কুর্মিটোলায় জাবালে নূর পরিবহনের বাস চাপায় রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজের দুই শিক্ষার্থী মারা যায়। এরা হল দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজীব। এরপর নিরাপদ সড়কের দাবিতে মাঠে নামে শিক্ষার্থীরা।

একটানা সাতদিনের আন্দোলনে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া নিরাপত্তার অজুহাতে ঢাকা ও আন্তঃজেলা রুটের বাস চলাচলও বন্ধ করে দেয় মালিকরা।

গত দুই দিনে আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর ঝিগাতলা ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আন্দোলনের প্রথম পর্যায়ে পুলিশ নমনীয় থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শক্ত অবস্থানে রয়েছে।

সোমবারও (৬ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফাঁকা গুলি,  টিয়ার শেল ও জলকামান ছোড়ে।

সারাবাংলা/ একে

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর